ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

কলেজশিক্ষকের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় মামলা হয়নি, অভিযোগের তীর আ.লীগ নেতার দিকে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, জুন ২, ২০২২

কলেজশিক্ষকের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় মামলা হয়নি, অভিযোগের তীর আ.লীগ নেতার দিকে
কুষ্টিয়ায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে কলেজশিক্ষকের ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। এঘটনায় পুলিশ কাউকে আটকও করতে পারেন নি। বুধবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার (৩১ মে) বেলা ২টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের বংশীতলা নতুন সেতুর ওপর প্রতিপক্ষের লোকজনের ধারালো অস্ত্রের  কলেজশিক্ষকের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়। এছাড়া এলোপাতাড়িভাবে কোপে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়েছে। 

বুধবার সকালে আহত শিক্ষকের ছেলে নাজমুস সাকিব হাসিব মুঠোফোনে বলেন, স্থানীয় রুকি শেখের তিন সন্তান ও তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবার আশ্রয়ে  থাকে। কিছুদিন আগে হঠাৎ রুকি এসে তার সন্তানদের ফিরে যাওয়ার কথা বলে। কিন্তু তার সন্তানরা রুকির কাছে না গিয়ে আমার বাবার কাছেই থেকে যায়। এনিয়ে আমার বাবার সাথে রুকির সামাজিক বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরেই রুকি শেখ স্থানীয় লিটন জাফর আরিফুল, সামাদ, নাজিম সহ আরও অনেকেই নিয়ে বাবার ওপর হামলা চালিয়ে বাবার হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাবাকে নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নত।
আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

জানা গেছে, অভিযুক্ত লিটন বাগুলাট ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। এবিষয়ে জানতে তাকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তার ফোনটি বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আলাউদ্দিন আহম্মেদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আলী হোসেন বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ থেকে শহরে ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষের লোকজন তোফাজ্জেল বিশ্বাসের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে তার ওপর এ হামলা করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন, হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল মঙ্গলবার দুপুরে। একইদিন রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেছে রোগীর স্বজনরা। 

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয় কলেজশিক্ষকের।  পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে অন্যদিকে মোড় না নেয়, সে জন্যই আমরা কাজ করছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, কলেজশিক্ষকের হাতের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার ঘটনায় কাউকে আটক করা হয় নি। এখনও মামলা হয়নি। আমাদের পাশাপাশি বিষয়টি কুমারখালী থানা পুলিশ দেখছে।