কুষ্টিয়ায় সদর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাছ চাষের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। বিষ প্রয়োগের ফলে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার মাছ মরে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩০ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার মনোহরদিয়া ইউনিয়নের কন্দপদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। মঙ্গলবার এজাহারভুক্ত আসামী ছানাউল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইবি থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান রতন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫ বছর আগে ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত জসিম মন্ডলের ছেলে জলিল মন্ডলের ৮০ শতাংশ পরিমাণ একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছের চাষ করে আসছেন আনোয়ার হোসেন। ওই পুকুর লিজ নেওয়াকে কেন্দ্র করে একই এলাকার মিজানুর রহমান মিজান (৩৫), ছানাউল্লাহ (৬২), সাইফুল রহমান, রাশিদুল, মন্টু সরদারদের সাথে মাছ চাষী আনোয়ারের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
পূর্ব বিরোধের জের ধরে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আনোয়ার ও তার ছেলে পুুকুরের পাহারা দেওয়ার সময় অভিযুক্ত আসামীরা হাতে বাশের লাঠি, কাঠের বাটাম নিয়ে লিজকৃত পুকুরে প্রবেশ করে এবং কীটনাশক বিষ পুকুরে প্রয়োগ করতে থাকে। এসময় প্রতিবাদ করায় আনোয়ার ও তার ছেলেকে মারপিট করে আসামীরা। তাদের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় আসামীরা। বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার মাছ মারা যায়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী আনোয়ার জানান, প্রায় ৯ লক্ষ টাকার মাছ মরে যাওয়ায় আমি একদম নিঃস্ব হয়ে গেছি। পুকুরে বিষ প্রয়োগের পরেও তারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
এবিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান রতন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ ৮ থেকে ৯ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে প্রতিপক্ষ। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমন অপরাধের সাথে বাকি যারা যুক্ত তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।