আল মামুন, বরিশাল প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহসানের সরকারি বাসভবনে হামলার অভিযোগে ইউএনও’র নিরাপত্তারক্ষীদের (আনসার) ছোড়া গুলিতে চোখ হারানো দুই আওয়ামী লীগ নেতার জামিন দিয়েছে আদালত।
রবিবার
বেলা ১২টার দিকে আসামি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বরিশালের অতিরিক্ত চীফ
মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ্ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
পুলিশ
প্রতিবেদন পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা বন্ডে স্থারীয় জামিনদার হিসাবে আসামি পক্ষের আইনজীবী
এ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম মাসউদ
বাবলুর জিম্মায় তাদের জামিন দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন আইনজীবী তালুকদার মো. ইউনুস।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- বরিশাল বরিশাল মহানগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম মনির ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মো. তানভির হাসান। জামিন শুনানিকালে দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ইউএনও’র বাসভবনে হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ১২ নেতাকর্মীর জামিন দিয়েছে আদালত। তার আগে গত ২৫ আগস্ট ওই দুই মামলায় আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মীকে জামিন দেয়া হয়। এ নিয়ে ইউএনও এবং পুলিশের মামলায় জামিন পেলেন আওয়ামী লীগের ২৩ নেতাকর্মী।তাদের মধ্যে ২১ জনকে ঘটনার দিন থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান হতে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
উল্লেখ্য,
গত ১৮ আগস্ট ব্যানার অপসারনকে কেন্দ্র করে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে
হামলার অভিযোগে সিটি কর্পোরেশন ও মহানগর আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ,
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময়
আনসার সদস্যদের ছোড়া গুলিতে চোখ হারান নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মনিরুল
ইসলাম মনির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য তানভির হাসান এবং কাশিপুর ইউপি সদস্য
(মেম্বর) আতিকুর রহমান রায়হান। ঘটনার পর থেকে তারা তিনজনেই ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে
ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে
পুলিশ ও ইউএনও বাদী হয়ে ১৯ আগষ্ট পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলায় সিটি মেয়রকে
প্রধান করে মোট ৬০২ জনকে আসামি করা হয়।
অন্যদিকে
২২ আগস্ট ইউএনও এবং পুলিশের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা করা হয়।
আদালত পিবিআইকে ওই মামলার তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
ওইদিন
রাতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্ততায় ১৮ আগস্টের ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি উল্লেখ করে
সিটি মেয়র এবং প্রশাসনের মধ্যে সমঝোতা হয়।