গ্রীষ্ম তার ডালা সাজাতে শুরু করেছে নানা ধরণের ও স্বাদের ফল সম্ভারে। বাজারে আসতে শুরু করেছে আম, জাম, জামরুল। এ পাশাপাশি জৈষ্ঠের প্রচন্ড গরমে হাট-বাজার ও অলিতে গলিতে কচি তালের শাঁসে স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছে হিলিবাসী। তবে অভিযোগ আছে এ বছর বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, হিলি চারমাথা মোড়, গোড়াউন মোড়, ডাঙ্গাপাড়া বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে তালের শাঁস বিক্রির ধুম পড়েছে। আকার ভেদে প্রতিহালি শাঁস বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়।
হিলি চারমাথা মোড়ের তাল শাঁস বিক্রেতা ইমরান জানান, গ্রামে ঘুরে ঘুরে গাছচুক্তি তাল কেনার পর বিক্রি করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত পরিশ্রমের কাজ। প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে ৮শ’ টাকা আয় হচ্ছে। এছাড়াও প্রখর রোদ ও গরমের সময় এর চাহিদা অনেক।
তাল কিনতে আসা আসলাম বলেন, তালের শাঁস খেতে আমার অনেক ভালো লাগে তাই দুই হালি শাঁস কিনলাম।
ভ্যান চালক মনছুর আলী বলেন, অতিরিক্ত গরমে ক্লান্তি বোধ করলে তালের শাঁস খাই। এতে ক্লান্তি দূর হয়।
হিলি হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতান জানান, তালের শাঁসে রয়ে প্রচুর পুষ্টিগুণ। এছাড়াও তালগাছ বজ্রপাত থেকে আমাদের রক্ষা করে থাকে। তাই তালগাছ লাগাতে বিভিন্ন সভা সেমিনারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এবং মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন সড়কের পাশে ১শ তালগাছ রোপন করা হয়েছে।