ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

মদনে ঈদকে সামনে রেখে টুং টাং শব্দে ব্যস্ততা হয়ে ওঠেছে কামারশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: রবিবার, জুলাই ১৮, ২০২১

মদনে ঈদকে সামনে রেখে টুং টাং শব্দে ব্যস্ততা হয়ে ওঠেছে কামারশালা
সামেনই মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব কোরবানির ঈদ। লডকাউন শিথিলের পর দেশব্যাপি এখন পশু কেনাবেচা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। আর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হাতুড়ির টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে নেত্রকোনার মদনের কামার পল্লীগুলো। মাংশ কাটা আর চামড়া ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত দা, ছুরি, বটি, চাপাতিসহ ধারালো যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মদন উপজেলার বিভিন্ন কামার পল্লীর শিল্পীরা। কোরবানির ঈদ মৌসুমে চাহিদা বেশি থাকায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। বছরের এই সময়ই তাদের কাজের চাপ বেশি থাকে। বিক্রিও হয় বেশি।

কোরবানির গরু কেনার সঙ্গে সঙ্গে এসব প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনতে কামার পল্লীতে ভিড় করছেন মানুষ। গরু ছাগল জবাই ও মাংস কাটা এবং চামড়া ছড়ানোর জন্য দা, ছুরি, বটি, চাপাতিসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার ধুম পড়েছে। তাই খুশি কামার শিল্পিরা।

মদনের কামার শিল্পীরা জানান, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, দা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, বটি ২৫০ থেকে ৫০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাপাতি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও ভিড় করছেন গ্রাহকরা। কামারদের অভিযোগ, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও শ্রমিকের দাম বেড়ে গেছে। আর ক্রেতাদের অভিযোগ ঈদ উপলক্ষে দা, চাপাতি ও ছুরির দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে।

কামার শিল্পীদের কাছে বটি ক্রয় করতে আসা কয়েকজন জানান, কোরবানির ঈদের সময় কসাই পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই একটা নতুন বটি কিনেছি, আর পুরনো চাপতি, দা শাণ দিয়ে নিচ্ছি, নিজেরাই কাজে লেগে যাব। গেল বছরের চেয়ে এ বছর পুরনো জিনিস শাণ দিতে মানভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে।

কামার ভুবন, গোপাল বর্মণ দেবের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে তাদের বেচাকেনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। তবে ঈদের দুদিন আগে থেকে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা বেচাকেনা হবে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লা ও শ্রমিকের মূল্য বেড়ে গেছে। দুই মাস আগেও প্রতি টিন কয়লার  দাম ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সেই কয়লা এখন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই তারা চাপাতি, ছুরি ও দায়ের দাম একটু বেশি নিচ্ছেন।
তারা আরো বলেন, কাজের ব্যস্থতায় নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই। পুরোদমে আগামী ২০ জুলাই ঈদুল আজহা পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন তারা।