কক্সবাজারের মহেশখালীর এক বিয়ে বাড়ীতে খাবার খেয়ে পেট ব্যাথায় আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ অন্তত ৪০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মাঝে অন্তত ৩৫ জনকে ভর্তি দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদের মাঝে অনেকের পেট ব্যাথার পাশাপাশি ডায়রিয়াও দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন মহেশখালী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
শুক্রবার (২৭ মে) রাতে মহেশখালীর দক্ষিণ জাগিরাঘোনায় জনৈক সেলিমের মেয়ের বিয়েতে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা ইয়ার মোহাম্মদ পাড়া এলাকা জনৈক জাহাঙ্গীরের সাথে বড় মহেশখালীর দক্ষিণ জাগিরাঘোনার জনৈক সেলিমের মেয়ের বিয়ে ধার্য ছিল শুক্রবার। এ উপলক্ষে কনের বাড়িতে বর পক্ষ দাওয়াত খাওয়া শেষে বাড়ী চলে আসে। হঠাৎ গভীর রাতে বর পক্ষের লোকজনের পেটব্যাথা শুরু হয়। সমস্যা বেশি হওয়ায় শনিবার ভোর ৬টার দিকে একে একে অসুস্থ ৪০ জন হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেয়।
আক্রান্তদের মাঝে জসিম উদ্দিন, তাহেরা খাতুন, জান্নাতুল ফেরদৌস, খুরশিদা, মোহাম্মদ শফি, গিয়াস উদ্দিন, জুলেখা, নাছিমা,মকসুদ মিয়া, আরফাত হোসেন, জাগির হোসেন, সায়মা, রাজিয়া বেগম, ইসলাম খাতুন, রিয়া মনির নাম পাওয়া গেছে।আক্রান্তদের প্রায় মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা গ্রামের বাসিন্দা।
অসুস্থ জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, শুক্রবার দুপুরে বিয়ের দাওয়াতে যায় এবং বিকেলে খাওয়া দাওয়া করি। সন্ধ্যার পর থেকে পেটে ব্যথা উঠে। রাতে পাতলা পায়খানা হওয়া শুরু হলে মহেশখালী হাসপাতালে ভর্তি হই। আমার সাথে আরো অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
মহেশখালী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মাহফুজুল হক জানান, পেট ব্যাথা ও ডায়রিয়ার লক্ষণ নিয়ে শিশুসহ প্রায় ৪০ জন হাসপাতালে আসেন। তাদের মাঝে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে যান ৫ জন। বাকি ৩৫ জনকে মহেশখালী হাসপাতালে ভর্তি দেয়া হয়।চিকিৎসার পর শনিবার বেলা ২টা পর্যন্ত অনেকের পায়খানা বন্ধ হওয়ায় হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। বাকি ২০-২২ জন এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় এমনটি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডাক্তার মাহফুজ আরো বলেন, রোগীর সিটের সংকট থাকলেও ফ্লোরে বিছানা পেতে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।