ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ফুলবাড়ীতে চালের বাজার ঊর্দ্ধমুখী,বেড়েছে ডিমের দামও

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর | আপডেট: শুক্রবার, মে ২৭, ২০২২

ফুলবাড়ীতে চালের বাজার ঊর্দ্ধমুখী,বেড়েছে ডিমের দামও
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সপ্তাহের ব্যবধানে অন্যন্য নিত্যপণ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে হঠাৎ করে চাল ও ডিমের মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প ও নিম্ন আয়ের ক্রেতারা। 

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকার ভেদে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৩-৫ টাকা পর্যন্ত। বস্তাা প্রতি বেড়েছে ১০০টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। সেই সাথে প্রতি হালি (৪টি) ডিমের দাম বেড়ছে ২-৪টাকা।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন,বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই বেড়েছে চালের দাম। অপরদিকে ডিমের দাম বেশি হওয়ার কারন হিসেবে খাবারে মুল্য বেশী হওয়ার কারনকেই দায়ী করছেন খামারী ও ব্যবসায়ীরা।

এদিকে ফুুলবাড়ী বাজারের চাল ব্যবসায়ী শ্রীকান্ত ও চাল ব্যবসায়ী আকবর আলী বলেন, ধানের দাম বেশি হওয়ার কারনেই চালের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বস্তা প্রতি চালের দামও বেড়েছে। ধান ব্যবসায়ী লিটন গুপ্ত বলেন,বর্তমানে মিনিকেট ধান বিক্রি হচ্ছে মনপ্রতি২হাজার ৪৮০ টাকা দরে,যা এক সপ্তাহ আগে প্রতি মন দাম ছিল ২ হাজার ৩২০ টাকা দরে। মোটা গোল হাইব্রিট  ৭৫০টাকা,শুরু ২৮ ধান বিক্রি হচ্ছে ৯শ টাকা প্রতিমন। বস্তাপ্রতি ধানের মুল্য বেড়েছে এক থেকে দইশ টাকা। যা আরো বাড়তে পারে বলেও তিনি মনে করেন।তবে সাধারণ ক্রেতাদের কিছুটা কষ্ট হলেও,ধানের মুল্য বেশি হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
সরেজমিনে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী বাজার ঘুরে জানা গেছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। সাধারণ মানুষ যে চাল খায় গুটি-স্বর্ণা লোকাল ৪০ থেকে বেড়ে ৪৫টাকা অটো ৪৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮টাকা,মিনিকেট ৫৫ থেকে বেড়ে ৬০টাকা, ২৮চাল ৪৪ থেকে বেড়ে ৪৮টাকা, স¦র্ণা ফাইভ ৩৭ থেকে বেড়ে ৪৫টাকা,ভ্যারাইটি এবং নাজিরশাল বেড়েছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। 

অপরদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে  (৪টি) এক হালী প্রতি ৪-৫ টাকা। লাল ডিম (৪টি) এক হালি বিক্রি হচ্ছে পাইকারী বাজারে ৪০টাকা, খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৮ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৩৮-৪০ টাকা পর্যন্ত। সাদাডিম (৪টি) এক হালি বিক্রি হচ্ছে পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা,খুচরা ৪০ টাকা,এক সপ্তাহ আগেও যা বিক্রি হয়েছে ৩৬-৩৮টাকা পর্যন্ত। তবে দেশি হাস-মুরগির ডিমের দাম এক হালি ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে যা এর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ডিম ব্যবসায়ী সুমন সাহা বলেন,খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে খামারীরা ডিমের দাম বাড়ীয়ে দিয়েছেন,তাই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, সেই অনুযায়ী বিক্রি করা হচ্ছে। হঠাৎ চাল ও ডিমের এই মূল্য বৃদ্ধিতে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন। 

পল্ট্রি খামারী শাহিনুর ইসলাম বলেন,বাজারের খাবারে মুল্য বেশি হওয়ায়,তারা পোশাতে পারছেন না।

কাঁটাবাড়ী গ্রামের রাহাদ গাজিসহ একাধিক ক্রেতারা জানান, বাজারে চাল কিনতে গিয়ে দেখি চালের কেজি প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। অন্যন্য নিত্যপ্রয়োজনিয় দ্রব্যের সাথে হঠাৎ চালের মুল্য বৃদ্ধিতে আমাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। 

ফুলবাড়ী চাউলকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবু জানান,এবছর রেশিয়ভাবে তুলনামুলক ধানের চাষবাদ কম হয়েছে,অনেক কৃষকের ধান নষ্ট হয়েছে,এবং দক্ষিণ অঞ্চলে কিছু যায়গায় বর্ণ্যা হয়েছে,সেই সাথে অনেকে অটোমিল ব্যবসায়ীরাও কিছু ধান কিনে মজুদ করছেন। তাই চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারনে ধানের মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি মনে করেন।