দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পৌর কাউন্সিলর কর্তৃক খেলার মাঠ ও ঐতিহ্যবাহী চরক মেলার জায়গা দখলের অভিযোগ। প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন। গতকাল বুধবার সকাল ১১ টায় এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন এলকাবাসী।
মাঠ দখলের প্রতিবাদে পৌর এলাকার চাঁদপাড়া গ্রাম থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পৌর শহর প্রদক্ষিণ করে ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে এলাকাবাসীরা মানববন্ধ করেন। মানববন্ধন শেষে খেলার মাঠ রক্ষার দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মাঠে খেলতে যাওয়া শতাধিক শিশু-কিশোরসহ এলাকার নারী-পুরুষরা অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার চাঁদপাড়া এলাকায় ছোট যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন সুজাপুর মৌজার ১৮১৫ দাগের সম্পত্তিটি সরকারি এবং তা জনসাধারণের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য উম্মুক্ত থাকার কথা বলা হয়েছে এসএ খতিয়ানে। ওই সম্পিত্তিটিতেই দীর্ঘদিন থেকে চাঁদপাড়া এলাকাবাসী খেলার মাঠ ও হিন্দু সম্প্রদায়ে ঐতিহ্যবাহী চড়ক পূজা ও মেলা করে আসছি। হঠাৎ করেই ওই এলাকার পৌর কাউন্সিলর মাজেদুর প্রভাব খাটিয়ে তাঁর নিজের সম্পত্তি দাবী করে দখল করে নেন।
এদিকে ইতোপূর্বে মাঠ উদ্ধারে চাঁদপাড়া এলাকাবাসী পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে মাঠ উদ্ধারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভে নেমেছেন বলে জানান তারা।
এসময় সুমন, লুৎফর, মৃদুল সহ এলাকাবাাসীরা বলেন, তাদের কোন খেলার মাঠ নেই তারা প্রায় অনেক বছর ধরে ওই মাঠটিতে খেলাধুলা করে আসছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাজেদুর হঠাৎ করেই মাঠটি দখলে নিয়ে খেলার পরিবেশ নষ্ট করছে। তাই খেলার মাঠটি উদ্ধারে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত পৌর কাউন্সিলর মাজেদুর রহমানের সাথে কথা বললে, তিনি জানান, আমি যে জায়গাটিতে রয়েছি,সেটি আমার বাপদাদার পৈত্রিক সম্পত্তি যার দাগ নাম্বার ১৮১৬। আমি কারো জায়গা দখল করিনি। এলাকাবাসীর দাবিকৃত জমিটি ১৮১৫ দাগের। সেই অনুযায়ী তাদের জমি আলাদা।
পৌর সভার মেয়র আলহাজ্ব মাহমুদ আলম লিটন জানান, এলাবাসীর একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।