পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে জেলার শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নির্বাচিত করার পর তার পুরস্কার স্থগিত করেছে প্রশাসন। রবিবার (২২ মে) বিকেলে ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নজরুল ইসলামের পুরস্কার স্থগিত করা হয়।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন জেলা প্রশাসক কাউখালী উপজেলায় ১৩৭ জনকে খাসজমি বন্দোবস্তের অনুমোদন দেন। বিষয়টি সম্প্রতি জানাজানি হয়। খাসজমি বন্দোবস্ত পাওয়া ১৩৭ জনের নামের তালিকা ঘেঁটে ২০ জন ব্যবসায়ী, ২৫ জন সচ্ছল ব্যক্তি, তিনজন প্রবাসী, ৫ জন চাকরিজীবী ও তাঁদের স্ত্রী সহ মোট ৫৩ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে, যাঁরা ভূমিহীন নন, বরং অনেকেই এলাকায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে জমি ও সম্পদের মালিক বলে পরিচিত।
বিধি অনুযায়ী, খাসজমি স্বামী ও স্ত্রীর নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। বেশির ভাগ পরিবারকে ১০ শতাংশ করে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলার সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের স্ত্রী সামসুন্নাহার হাসি উজিয়ালখান গ্রামে ৫০ শতাংশ খাসজমি বন্দোবস্ত পান। সৌদিপ্রবাসী আবদুল মান্নান হাওলাদার ও তাঁর স্ত্রী লাইলী বেগম চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া মৌজায় ১০ শতাংশ জমি বরাদ্দ পেয়েছেন। আরেক সৌদিপ্রবাসী উত্তর নিলতী গ্রামের সোয়েবুর রহমানও ১০ শতাংশ খাসজমি পেয়েছেন। চিরাপাড়া গ্রামের ১৫ বিঘা জমির মালিক জিয়াদুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী রিপা আক্তার ১০ শতাংশ জমি পেয়েছেন।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, নজরুল ইসলাম জেলার শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে নজরুল ইসলামকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা সমালোচনা থাকায় তাঁর পুরস্কার স্থগিত করা হয়েছে।