কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় তানভির রহমান শিশির (২৫) নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২২ মে) সদর উপজেলার পৌর এলাকার আর্জুনদাস আগরওয়ালা স্ট্রিট সড়কের একটি (র্যাব গলি) ভাড়া বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তানভির রহমান শিশির কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসীর বজলুর রহমানের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ম্যাথমেটিক্সে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সৌদি প্রবাসী বজলুর রহমানের স্ত্রী ছেলেদের পড়াশোনার জন্য কুষ্টিয়া শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। গত শুক্রবার (২০ মে) বজলুর রহমানের স্ত্রী ছোট ছেলে শিহাব উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে দৌলতপুর গ্রামের বাড়িতে যান। বড় ছেলে শিশির কুষ্টিয়ার বাসায় একাই ছিল। রোববার শিশিরের ছোট ভাই শিহাব উদ্দিনের স্কুলে ক্লাস থাকায় কুষ্টিয়ার বাসায় একাই ফিরে আসে। কিন্তু বাসায় এসে বড় ভাই শিশিরকে অনেক ডাকাডাকি করে কোনও সারাশব্দ না পেয়ে সানসেডের উপর উঠে দেখতে পায় শিশির গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে নিহতের মামা খালিদ হাসান রিংকু জানান, কি কারণে শিশির আত্মহত্যা করল আমরা বুঝতে পারছি না।
এ প্রসঙ্গে বাড়ির মালিক সেলিনা বেগম বলেন, গত রাতে বারান্দা ও ঘরের লাইট জ্বলে থাকা দেখে আমরা শিশিরকে ডাকি কিন্তু সে আমাদের ডাকে কোনো সারা দেয়নি। পরে রাতেই তার মাকে ফোন করে বিষয়টি বলেছি। শিশিরের মা তখন বলেছিল। শিশির হয়তো রাতে ঘুমিয়ে গেছে সেই কারণে বুঝতে পারছে না। সকালে ফোন দিয়ে ওকে বলব।
এ সময় বাড়ির মালিক সেলিনা বেগমের ছেলে মিথুন বলেন, ওই ছেলে অনেক রাত করে বাড়ি ফিরত। ওকে আমাদের কাছে হতাশাগ্রস্ত ও নেশাগ্রস্ত মনে হতো।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া সদর থানার সাব ইন্সেপেক্টর এসআই কামরুল জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর আসল ঘটনা জানা যাবে। ওই ঘর থেকে গাঁজা স্বদৃশ্য কিছু জিনিস আমরা পেয়েছি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।