জেলার বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর, নাগরপুর ও বাসাইল উপজেলার ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এই উপজেলারগুলোর ১৯টি ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ এলাকা এখন বন্যা কবলিত।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও ধলেশ্বরী, ঝিনাইসহ অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার, ধলেশ^রী নদীর পানি বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার ৯২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন শাখা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন-নতুন এলাকা প্ল¬াবিত হচ্ছে। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে এসব এলাকার ঘর-বাড়ি, ফসলী জমি, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থাপনা। বিভিন্ন এলাকার পানিবন্দি মানুষ নিজ-নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র উচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।
এদিকে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবার শঙ্কা করছেন কৃষি বিভাগ। এরই মধ্যে ৭৫০ হেক্টর রোপা আমন ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় ঘর-বাড়ি প্লাবিত হওয়ায় অনেকেই গবাদিপশুসহ উঁচু সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন।
বাসাইল পৌরসভার মেয়র আব্দুর রহিম আহমেদ জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সবার মাঝে ত্রাণ দেয়া হবে।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর হোসেন জানান, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ত্রাণ সামগ্রী বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। যারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবার মাঝে অতি তাড়াতারি ত্রাণ দেয়া হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো পানি নেমে গেলে পূণরায় মেরামতের সময় তা উঁচু করে দেয়া হবে।