টানা এক সপ্তাহের পানিবন্দী জীবন আর আর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বিপাকে পড়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকাসহ ১০ উপজেলার মানুষ। সরকারি সহযোগিতা প্রত্যন্ত বন্যা কবলিত এলাকায় না পৌঁছায় দূর্ভোগের মাত্রা বাড়ছে। খাদ্য সংকটে অতিষ্ঠ হয়ে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলিখালে ত্রাণ নিয়ে মারামারি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমলেও এখনো এই দুই নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
গত কয়েকদিনের তুলনায় সিলেটে বৃষ্টিপাত কমলেও ভারতের মেঘালয় উপত্যকায় টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না। সপ্তাহ খানেক ধরে সিলেট সদর উপজেলাসহ ৬টি উপজেলায় বন্যা প্রকট আকারে বিরাজ করছে। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলাসহ আরো ৩ উপজেলার নদী তীরবর্তী অঞ্চল ২/৩ দিন ধরে নতুন করে বন্যা কবলিত হয়েছে।
বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে পানিবন্দী পরিবারের লোকজন বেকার হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি গবাদি পশু নিয়েও পড়েছেন বিপাকে। উচু ও শুকনো স্থানে নিয়ে রাখছেন গবাদিপশু। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় কাজেও যেতে পারছেন না। পাচ্ছেন না সরকারি সহযোগিতা। ফলে পানিবন্দী মানবেতর জীবনযাপন করছেন বানভাসিরা। এদিকে বন্যার পানি না নামায় সিলেটের সাথে কয়েকটি উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে না।
বন্যাকবলিত সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় ত্রাণের প্যাকেট ছিনিয়ে নেয় বন্যার্তরা। আজ দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জও করে।
এদিকে সিলেটের বিভিন্ন বন্যা কবলিত উপজেলায় সরকারি জিআর প্রকল্পের চাল বিতরণ করা হচ্ছে বানভাসিদের মধ্যে জানিয়েছেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটের সুরমা নদীর পানি ৫ থেকে ৭ সেন্টিমিটার কমলেও বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। তবে ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়েছে কিছুটা।
দ্রুত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বানভাসি মানুষেরা মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা করছেন।