লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে অর্ধকোটি টাকার ৯টি ভবন প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকায় নিলামে উঠেছে। বৃহস্পতিবার কমলনগর শিক্ষা অফিসে এ নিলাম কার্যক্রম শেষ হয়। নিলাম প্রক্রিয়ায় মাত্র ৬ থেকে ৭জন লোক অংশগ্রহণ করেন। একই ব্যক্তিরা বার বার নিলামে অংশ নেয়। সরকারের রাজস্ব ঠকাতে কুট-কৌশলে ডেকে নেয় উপস্থিতরা। এতে সরকার বঞ্চিত হয়েছে মোটা অংকের রাজস্ব থেকে। এঘটনায় উপজেলার বিভিন্ন মতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, কমলনগর উপজেলার ৯টি স্কুল ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন উপজেলা শিক্ষা অফিস। তৎকালীন ওইসব স্কুলগুলো ৫ থেকে ১৫ লাখ টাকার বিভিন্ন বরাদ্ধে নির্মাণ করা হয় বর্তমান পরিত্যক্ত ওই ভবন। এগুলো হচ্ছে-চরজাঙ্গালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকাদিরা কেএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,উত্তরপূর্ব চরজাঙ্গালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজিরহাট মিল্লাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরফলকন মাওলানাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম চরপাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তরপূর্ব তোরাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরলরেন্স সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরজাঙ্গালিয়া আর্টিষ্টকিল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এদিকে দীর্ঘদিন স্কুলগুলো উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মারাত্মক ঝুঁকিতে ছিলো। পরে ওই স্কুল ভবনগুলো অপসারণ করার জন্য শিক্ষা অফিসকক্ষের সামনে নামকাওয়াস্তে একটি সাদা কাগজে নিলাম বিজ্ঞপ্তি সাঁটানো হয়। ব্যাপকভাবে প্রচার নাহওয়ায় নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারেনি প্রকৃত ঠিকাদার। গোপন বিজ্ঞপ্তির ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ত থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নিলাম শেষে বিষয়টি অংশনিতে না পারা অন্যান্য ঠিকাদারদের মধ্যে জানাজানি হলে প্রকৃতভাবে সরকারের রাজস্বের আয়ের উৎসটি ভেসে উঠে। নামপ্রকাশ না করার শর্তে ক্ষোভপ্রকাশ করে কয়েকজন ঠিকাদার বলেন; আমরা জানি নিলাম হলেও এটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়। ফলে ব্যাপক প্রচার হয়। এখানে উপজেলা শিক্ষাঅফিসের দুরদর্শিতার অভাব ও অসদউপায় অবলম্বনের উদ্দেশ্যে থাকায় উপজেলার প্রকৃত ঠিকাদাররা পরিত্যক্ত ভবন নিলাম কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে নাই। এটি পুনঃরায় নিলাম ডাক দেওয়া হলে প্রকৃত টাকা সরকারি রাজস্ব ফান্ডে যাবে আমাদের বিশ্বাস।
কমলনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার (অঃদা) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, পরিত্যক্ত ভবন নিলামে সরকার ভালো টাকা পেয়েছে।