পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ডাকবাংলো থেকে মৃধা বাড়ি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কের দুই বছর ধরে বেহাল দশা। এই সড়কের পিচ খোয়া উঠে পরিনত হয়েছে মাটির রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে শতাধিক গর্ত। এ অবস্থার কারণে প্রায়ই এই গর্তে যানবাহন আটকে পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।
জানা যায়, মঠবাড়িয়া পৌরসভার ডাকবাংলো সড়ক নামে পরিচিত গুরুত্বকপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সড়কটি পৌরসভার ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র উপায়। এছাড়া মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের বকসির ঘটিচোরা গ্রাম, টিকিকাটা ইউনিয়নের তেতুলতলা গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য সড়কটির ওপর নির্ভরশীল। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির পৌরসভার অংশের ডাকবাংলো থেকে মৃধা বাড়ি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় প্রথমে ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়। গত বর্ষা মৌসুমে গর্তে বৃষ্টি পানি জমে বড় ধরণের খানাকন্দ তৈরি হয়। এরপর থেকে সড়কটি বেহাল হয়ে পড়ে। সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় গর্তে যানবাহনের চাকা আটকে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কার করা না হলে কয়েক মাস পরে বর্ষা মৌসুম শুরু হলে এসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের কে এম লতিফ মসজিদ সংলগ্ন মার্কেটের সামনে দুটি, ফজলুল হকের বাড়ির সামনে একটি, জাহাঙ্গীর কমিশনারের বাড়ির সামনে একটি , নূর হোসেন খানের ঘের এলাকায় দুটি, সাওজাল বাড়ির সামনে, আলম মাস্টার, আব্দুল খালেক ও আবুল বাশারের বাড়ির সামনে সড়ক ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া পুরো সড়ক জুড়ে রয়েছে ছোট ছোট অসংখ্য গর্ত। পিচ, ইটের খোয়া উঠে গিয়ে গর্তের বালু বের হয়ে গেছে।
ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক নূরুল ইসলাম বলেন, সড়কের বড় বড় গর্ত গাড়ির চাকা আটকে যায়। কখনো গাড়ি উল্টে গিয়ে যাত্রীরা গাড়ি থেকে পড়ে আহত হন। এ রাস্তায় পৌরসভার তিন কিলোমিটার অংশে শতাধিক ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সোহাগ গাজী বলেন, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। পৌরসভা বেহাল সড়কটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা কয়েকবার সড়কের গর্তে ইটের খোয়া ফেলে যানচলাচলের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু ভারী যানবাহন চলাচল করায় আবার সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও সড়কটি বেহাল হওয়ায় রিকশা চালকেরা এসড়কে ভাড়া নিয়ে যেতে চান না। গেলেও বেশি ভাড়া দাবি করেন।
মঠবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালেক বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য উপকূলীয় শহর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালকের কাছে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পটি অনুমোদন না হওয়ায় সড়কটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে পৌরসভার তহবিলেও সড়কটি সংস্কার করার মতো টাকা নেই বিধায় এখনো সড়কটির এই অবস্থা।