বয়স ৩০ বছর,৩য় বিয়ে শেষ করে ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ১২ বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে ৪র্থ বিয়ে করতে গিয়ে ধরা পড়লেন পুলিশের হাতে ঘটনা বাল্যবিবাহ।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের এনামুল হকের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩০) । বয়স তার ত্রিশ বছর হলেও এরইমধ্যে তিন তিনটা বিয়ের কাজ শেষ করেছে এবার পালা ৪র্থ বিয়ের। অনেক খোঁজাখুঁজির পর কনে হিসেবে বেছে নিয়েছেন একই উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের, মোহাম্মদপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ওই গ্রামের সোহরাব হোসেনের মেয়েকে। দেনমোহর নগদ ৩ হাজার টাকা, এবার পালা বিয়ে পড়ানো। কবুল বলার আগেই উপস্থিত পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেকেই পালিয়ে গেলেও বর ও কনের পিতাকে আটক করে পুলিশ।
শনিবার ৭ মে দিবাগত রাত ১২ টার দিকে মোহাম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার দিবাগত রাত ১২ টা থেকে থানা হেফাজতে আটকের পর, আজ ৮ মে দুপুর ১২ টার সময় উপজেলা চত্বরে বর ও কনের নিজ নিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দ্বয়ের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে কোন মেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবেনাএবং ছেলেদের বয়স হবে ন্যূনতম ২১ বছর। তারই ধারাবাহিকতায় কনের পিতা সোহরাব হোসেন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ করার কারণে তাকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও বর সেজে বিয়ে করতে যাওয়া হেলাল উদ্দিন ৩ টা বিয়ের পর আবারো ১২ বছরের একটি স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে বাল্য বিবাহ করার কারণে তাকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও সেই সাথে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয় । অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম এ সময় গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিল।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম জানান, গতকাল রাত ১২ টার দিকে মুঠোফোনে মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ আমাকে অবগত করে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া ১২ বছরের একটি মেয়ের বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক গাংনী থানা কে অবগত করলে রাতে তাদের আটক করা হয় এবং আজকে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করা হয়।