১৮ বছর পর আজ ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। কে হবেন সভাপতি, কে হবেন সাধারণ সম্পাদক সেই হিসেবে করছেন নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন পর নানা জল্পনা কল্পনা চলছে তৃণমূল পর্যায়ে।সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যারা প্রার্থী হচ্ছেন সকলেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের।
সংগঠনের জন্য বিভিন্ন ভূমিকা রেখেছেন এমন প্রায় ১৫ জন পদস্থ নেতা মৃত্যুবরণও করেছেন ইতিমধ্যে। নতুন করে সম্মেলনকে ঘিরে আবারো নেতাকর্মী হয়েছেন। সম্মেলনের শুরু দিনেই দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে। তবে এবারের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যেন নির্বাচনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয় সে দাবিও করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
সম্মেলনকে ঘিরে ইতিমধ্যে কাউন্সিলর ও সাবজেক্ট কমিটির নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এবারের সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে ৩ জন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ৫ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে কে হবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সে হিসেবে সম্মেলন হওয়ার আগে বলা কঠিন। তবে যোগ্য প্রার্থীকেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করবেন নেতারা।
সভাপতি পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- মেহেরপুর পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ইকবাল হোসেন বুলবুল।
সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান, সাবেক ছাত্র নেতা আমিনুল ইসলাম খোকন, পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড- খ.ম ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল, শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আসলাম খান পিন্টু।
এদিকে সভাপতি প্রার্থী জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম সাজেদুল বলেন, সভাপতি প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছি। বেশ সাড়া পাচ্ছি। এখনো চেষ্টা করছি কাউন্সিলরদের মন জয় করার।
অপরদিকে, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আক্কাস আলী ১৮ বছর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে রয়েছি। তিনি যেখানে মনে করবেন সেখানে রাখবেন। তবে দায়িত্ব পেলে সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করবো। না পেলে কোন খেদ নেই।
অপর, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতি করছি। কয়েকবার কারাবরণও করেছি। বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছি এবং এখনো করছি। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলে দলকে শক্তিশালী করতে পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবো।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ৭ অগস্ট তিন বছর মেয়াদে ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কার্যকরী কমিটি ও ১৭ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে দীর্ঘদিন হয়ে গেছে।