করোনা মহামারীর কারনে দুই বছর পর ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে যারা নাড়ির টানে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে এসেছিলেন, তারা এখন ফিরছেন স্ব স্ব কর্মস্থলে। ঝালকাঠিতে বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। এ জেলার বেশিরভাগ মানুষ ঢাকায় যাতায়াতের জন্য কম ভাড়ায় নৌ-পথেই সাচ্ছন্দবোধ করেন।
শনিবার ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনাল থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায় ফারহান-৭ নামক লঞ্চটি।
এই লঞ্চের নোটিশ বোর্ডে যাত্রী ধারন ক্ষমতা ৬৩৯ জন থাকলেও প্রায় ৩ হাজার যাত্রী নিয়ে ঢাকারর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় লঞ্চটি। একই চিত্র ছিলো সরকারী প্রতিষ্ঠান বি আই,ডব্লিউ,টি,সি'র যাত্রীবাহী নৌ-যান স্টিমারেও। লঞ্চ ও স্ট্রিমারের নিচতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত তিল ধারনের ঠাই ছিলোনা।
যাত্রীরা বলছেন শুক্র ও শনিবার ভিড় বেশি হবে, তাই আজকেই (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় রওনা করেছেন তারা। আর
ঢাকায় রওনা করা যাত্রী মোজাম্মেল হোসেন বলেন, 'রবিবার থেকে আমার অফিস খোলা। আজ যে করেই হোক যেতে হবেই । লঞ্চে এসে দেখি প্রচন্ড ভীড়। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে আল্লাহর নামে রওনা করলাম।
ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা করা যাত্রী ঝালকাঠির পিপলিতা গ্রামের শামসুল হক বলেন, 'ঝড়বৃষ্টির পুর্বাভাস শুনে লঞ্চে উঠেছি, স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুন ভাড়ায় কেবিন টিকেট কেটেছি আজ যাত্রীর চাপ অনেক ভালোয় ভালোয় গন্তব্যে যেতে পারলেই হলো।'
নারায়নগঞ্জের একটি প্লাষ্টিক কারখানায় চাকুরী করেন ঝালকাঠির পোনাবালিয়া গ্রামের হোসনেয়ারা বেগম। পরিবারের সবার সাথে ঈদ করতে এসেছিলেন তিনি। তিনি বলেন. 'লঞ্চের কোনো দিকে জায়গা পাইনাই, ছাদের এক পাশে বিছনা করছি।কিন্তু রাইতে বৃষ্টি নামলে ভিজা ছাড়া উপায়নাই।
এদিকে ঘরে ফেরা মানুষদের নিরাপদে কর্মস্থলে ফিরাতে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী না তোলাতে কঠোর অবস্থানে ছিলো প্রশাসন।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ফ্রিডম বলেন 'নৌযানে নিরাপদে যাত্রী আসা-যাওয়ার বিষয়ে সরকারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। কোনো অবস্থাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা যাবেনা।
শনিবার লঞ্চঘাটে নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট পাঠিয়ে নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ছয়টা বাজার আগেই লঞ্চটিকে ঘাট ত্যাগ করানো হয়েছে।