সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের কিছুটা চাপ রয়েছে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় তবে অন্য বছরের মতে কোন ভোগান্তি ছাড়াই পার হতে পারায় সস্তির নিশ্বাস ফেলছে যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
রবিবার ( ১লা মে ) দুপুরের দিকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী পরিবহনের সারি প্রায় তিন কিলোমিটার ও ছোট গাড়ী তিন শতাধিক নৌপথ পারের অপেক্ষায় আছে। ঘাট এলাকায় সবচেয়ে কাটা গাড়ী ( লোকাল) যাত্রীর চাপ লক্ষণীয় এবং তারা বিআইডব্লিউটিএর বাস ট্রার্মিনাল থেকে প্রায় এক কিলোমিটারের মতো রাস্তা পাঁয়ে হেঁটে লঞ্চ ঘাট ও ফেরি ঘাট হয়ে পদ্মা নদী পারি দিচ্ছে।
মাদাীপুর গামী গোলডেন লাইনের যানবাহনের চালক মতি মিয়া বলেন, গত কয়েক বছর ঈদের সময়টাতে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে ফেরিতে উঠছি কিন্তু এ বছর মহাসড়ক ও ঘাট এলাকার রাস্তা ঘাট ভালো হওয়াতে ভোগান্তি নাই।অন্যান্ন বছরের চেয়ে ঘাট এলাকাতে আইন শৃংখলার ব্যবস্থাও অনেকাংশে ভালো, যে কারণে ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়নি। ওই গাড়ী যাত্রী শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘাট মানেই ভোগান্তি আর এই ভোগান্তির কথা মাথায় রেখেই আমরা ঢাকা থেকে রওনা হই। তবে এবছর রাস্তা ঘাটে যানজট ছিল না, ঘাট এলাকায় তেমন সময় নদী পারের অপেক্ষায় বসে থাকতে হয়নি সব মিলিয়ে এবারের ঈদ যাত্রা টা ভালই মনে হচ্ছে।
৫ নম্বর পন্টুনে অপেক্ষাকৃত ছোট গাড়ীর যাত্রী নাঈম হাসান বলেন, ঘাট এলাকায় প্রায় ঘন্টা খানের মতো হবে এসে পৌঁছেছি, ফেরি পারের টিকিট পেয়ে গেছি আর এখন ফেরিতে উঠে পদ্মা নদী পারি দিবো। গত বছর না শুধু আমি যতদিন ধরে এই নৌপথ পার হই এর মধ্যে এই সময়টাতে কোন ভোগান্তি ছাড়াই পার হচ্ছি আর যেটুকু সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে এটা একদমই স্বাভাবিক বিষয়।
কাটা গাড়ীর যাত্রী ( লোকাল গাড়ী ) মন্সুর আলী বলেন, যাত্রীবাহী পরিবহনের টিকিট না পাওয়াতে কাটা গাড়ী(লোকাল) গাড়ীতে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় এসে পৌঁছেছি। তবে কিছুটা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়েছে এটা কোন বিষয় না কারণ ওরা তো (গাড়ীর চালক) ফাঁকা গাড়ী নিয়ে যায় এবং পূনরায় যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে ফিরে আসে। পাটুরিয়া বিআইডব্লিউটিএর বাস ট্রার্মিনালে অপেক্ষাকৃত ইতিহাস পরিবহনের চালক রবিউল বলেন, নবীনগর থেকে পাটুরিয়া ঘাট আসি এবং নির্য়ধারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েকটা টাকা বেশি নেই কারণ ঘাট থেকে তো আবার ফাঁকা গাড়ী নিয়ে যেতে হয় নবিনগর।
পাটুরিয়া লঞ্চ মালিক সমিতির সুপার ভাইজার পান্না লাল নন্দী বলেন, ভোর থেকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত যাত্রীর প্রচুর চাপ ছিলো তবে এখন যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক হয়েছে। যে ভাবে যাত্রীরা লঞ্চ ঘাটে আসছে তাতে আমরা সুশৃংখল ভাবে তাদেরকে পার করতে পারবো।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ডিজিএম শাহ মোঃ খালেদ নেওয়াজ বলেন, সকালের দিকে যানবাহনের কিছুটা চাপ ছিলো ঘাট এলাকায় তবে এখন ছোট বড় মিলিয়ে যে পরিমান যানবাহন পারের অপেক্ষায় আছে তা আমরা সময় মত সব পার করতে পারবো। বর্তমানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ২১ টি ফেরি চলাচল করছে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের কাজে।