নাড়ীর টানে প্রিয় জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে চির চেনা সবুজের মেঠোপথ গ্রামের বাড়ী যাচ্ছে নাছির উল্লাহ নামের এক জুতার কারখানার শ্রমিক। তক্ত রোদ উপেক্ষা করে কাঁধে ব্যাগ আর তিন বছরের মেয়েকে কোলে তুলে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে পাটুরিয়া লঞ্চ ট্রার্মিনালের দিকে যাচ্ছে কিন্তু কোন ক্লান্তি ছুতে পারেনি তাকে।
রবিবার(১লা মে) সকালের দিকে পাটুরিয়া ১ নম্বর ফেরি ঘাটের সামনে শত শত মানুষ পায়ে হেঁটে লঞ্চ ট্রার্মিনালে যাচ্ছে পদ্মা নদী পার হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। প্রতিটি ঈদের ঘরমুখো মানুষের হাতে কাঁধে রয়েছে দশ থেকে বিশ কেজি ওজনের বিশাল আকৃতির ব্যাগ। কপাল থেকে ঘাম বেঁয়ে বেঁয়ে পড়লেও কোন ক্লান্তি তাদের ছুঁতে পারেনি।
খুলনা গামী গার্মেন্টস কর্মী আয়েশা বলেন,অফিস ছুটি হওয়ার আগে থেকেই একটাই চিন্তা কখন বাড়ী যাবো কখন আমার মায়ের মুখখানা দেখবো।আমি সাভারের আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করি,সব সময় তো বাড়ীতে যাওয়ার সুযোগ হয় না তবে দুটি ঈদের সময় বাড়ীতে যাওয়া হয় আর এই সমযটারই আমরা অপেক্ষায় থাকি। ফরিদপুর গামী আরো এক গার্মেন্টস কর্মী জিহাদ বলেন,ঈদে বাড়ী যাবো এই পরিকল্পনা তো আরো এক মাস আগের তবে এ বছর রাস্তায় তেমন কোন ভোগান্তির সম্খূখিন হতে হয়নি। অন্যান্ন বছরের চেয়ে এ বছর রাস্তায় তেমন যানজট নেই কিন্তু ভাড়াটা একটু বেশি নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পাটুরিয়া লঞ্চ মালিক সমিতির সুপার ভাইজার পান্না লাল নন্দী ফ্রিডমবাংলানিউজকে বলেন, আজ গার্মেন্টস কর্মীদের একটু চাপ পড়েছে লঞ্চ ঘাটে তবে পর্যন্ত লঞ্চ ঘাটে আছে। প্রতিটি লঞ্চে নির্ধারিত যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া ঘাট থেকে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চ গুলো।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন ( বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ডিজিএম শাহ মোঃ খালেদ নেওয়াজ ফ্রিডমবাংলানিউজকে বলেন, ঈদের ঘরমুখো মানুষের কিছুটা চাপ পড়েছে ঘাট এলাকায়। যাত্রীবাহী পরিবহনের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ যাত্রীদেরও ফেরি যোগে পদ্মা নদী পার করা হচ্ছে।বর্তমানে এই নৌরুটে ছোট বড় মিলিয়ে ২১ টি ফেরি চলাচল করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।