ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, জুলাই ১, ২০২৪ |

EN

শখের তোলা আশি টাকা,ভেদরগঞ্জে বিপনীগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

শরীয়তপুর প্রতিনিধি | আপডেট: শনিবার, এপ্রিল ৩০, ২০২২

শখের তোলা আশি টাকা,ভেদরগঞ্জে বিপনীগুলোতে উপচে পড়া ভিড়
ঈদের বাকি মাত্র দুদিন। রোজার দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ঈদ উপলক্ষে জামাকাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়।

নতুন নতুন পোশাক কিনতে দোকানগুলোতে কেনাকাটার ধুম পড়ে। তবে রোজার শেষের দিকে এসে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও ঈদের দুদিন আগে থেকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার বিপণিবিতানগুলোতে বেড়েছে ভীড়। এতে বিক্রি বেড়েছে বলে দাবি দোকানিদের। তবে গরমের কারণে ক্রেতারা দ্রুতই কেনাকাটা করে চলে যাচ্ছেন।

দোকানিরা বলছেন, মূলত শেষ দিকে যারা দোকানে আসছেন খুব বেশি দেরি না করেই কেনাকাটা করে চলে যাচ্ছেন। রোজার প্রথম দিকে পছন্দের পোশাকের জন্য ক্রেতাদের দোকান থেকে দোকানে বিচরণ আরো বেশি ছিল। তা ছাড়া অধিকাংশ ক্রেতারাই পরিবার পরিজন নিয়ে দোকানে আসতেন। এ কারণে মানুষের ভিড় ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি। যা রোজার শেষের দিকে এসে কমলেও আজ থেকে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে।

শেষ মুহূর্তে পছন্দের পোশাক কিনতে পারলেও দামে অসন্তোষ পৌরবাজারসহ গ্রাম পর্যায়ের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ‘গ্রামের বাজারের পোশাকের দোকানে ভিড় দেন এ সময়ে। কিছুটা বেশি রয়েছে। এ ছাড়া পৌর মার্কেটগুলোতে অনেক ভিড় রয়েছে। ক্রেতারা দোকান থেকে দোকানে খুব একটা ঘুরছেন না। দ্রুত কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরছেন

ভেদরগঞ্জ বাজারের স্টাইল ফ্যাশন নে কেনাকাটা করতে আসা সোহেল রাড়ী বলেন, 'প্রচণ্ড গরম। বেশি ঘোরাঘুরি করা যাচ্ছে না। দুই-এক দোকান দেখেই কিনে ফেলেছি। পোশাকের দাম গত বছরগুলোর চেয়ে অনেক বেশি।'

আরেক ক্রেতা মাহাবুব তালুকদার বলেন, ‘এ বছর জামা কাপড় কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পছন্দ অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে না। আবার তুলনামূলক দামও বেশি। রোজার প্রথম দিকে একবার ঘুরে গিয়েছি। তখন কেনা হয়নি। এখন দাম বেশি দিয়েই কিনলাম।'

পোশাক বিক্রেতা মো. কাউসার আহমেদ,। গত বছরের তুলনায় লোকজনের ভিড় কিছুটা কমেছে। প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি। তবে বিক্রি বেশ ভালোই হচ্ছে। সরেজমিনে উপজেলার রোজার শেষ সময়ে যারা কিনবেন ঠিক তারাই আসেন। ক্রেতারা বেশি না ঘুরে কেনাকাটার দিকে মনোযোগ

আরেক দোকানি মো. কাওসার বলেন, তুলনামূলক ভাবে মেয়েদের পোশাকের দাম একটু বেশিই এ বছর। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে।'

অন্যদিকে পোশাকের পাশাপাশি জুতা-স্যান্ডেল এবং কসমেটিকসের দোকানেও বেড়েছে ভিড়। জুতার দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। ক্রেতারা জানান, গত বছর যে লোফার ২ হাজার বিক্রি হয়েছে এবার তার মূল্য ৩ হাজার।

রোজার শেষ মুহূর্তে ঈদের নতুন জামা কাপড় কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাধারণ মানুষ। করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদ অনেকটাই ম্লান ছিল। দুই বছর পর ঈদকে ঘিরে উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করছে শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সীদের মধ্যে। সেই উৎসাহ-উদ্দীপনার একটা অংশ পোশাকের বাজারে লক্ষ্যে করা যাচ্ছে।