দিনাজপুরের হিলিতে পাইকারি বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে মোটা জাতের সব ধরনের চালের দাম। কেজি প্রতি প্রকারভেদে কমেছে ২ থেকে ৫ টাকা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। সরকারের পক্ষ থেকে ভিজিএফ এর চাল বিতরণের কারণে কমেছে ক্রেতা। সেই জন্য কমেছে চালের দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) হিলি চালের বাজার ঘুরে জানা গেছে, স্বর্ণা-৫ জাতের চাল কেজি প্রতি ২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায়, গুটি স্বর্ণা ৪ থেকে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, আটাস জাতের চাল ২ টাকা ৪৬ টাকায়। তবে মিনিকেট এবং সম্পাকাটারী চালের দাম কমেনি। কেজি প্রতি ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব চাল।
চাল কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম এবং মর্জিনা বিবি জানিয়েছেন, সরকার আমাদের চাল দেয় যার জন্য আমরা অনেকটাই সুবিধা ভোগ করছি। অন্যদিকে বাজারে কিছুটা চালের দাম কমেছে। তবে সয়াবিন তেল, চিনি, ময়দাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বেশ কিছু জিনিসপত্রের দাম রমজানের প্রথমে কম ছিলো। এখন আবার দাম বেশি। সরকার যদি এখনি পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা রমজানের পর আরও দাম বৃদ্ধি করবে।
হিলি বাজারের চাল বিক্রেতা বাবুল হোসেন জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করছে। যার জন্য ক্রেতা অনেক কম। বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ বস্তা চাল বিক্রি হলেও বর্তমানে ২০ বস্তা বিক্রি হচ্ছে। যার জন্য কমেছে চালের দাম। সামনে ধান কাটা মাড়াই শুরু হলে আরও দাম কমতে পারে।