ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শ্রীঘরে

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১

বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শ্রীঘরে

বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ সাইদুর রহমানের সাবেক কর্মস্থল বাউফলের দূর্নীতির মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তাঁর সঙ্গে আরও পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

অন্য আসামিরা হলেন বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার কনকদিয়া ইউপির সচিব মো. মজিবুর রহমান, কনকদিয়া ইউপির নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মোঃ নিজাম উদ্দিন হাওলাদার, নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মোঃ আশরাফুল আলম ওরফে কামাল মেজবাহ উদ্দিন তালুকদার।

 

দুদকের মামলায় ২২(আগষ্ট) রোববার পটুয়াখালীর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা  মোঃ সাইদুর রহমান সহ ছয় আসামি। আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ জেলা দায়রা জজ রোখসানা পারভীন শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে ছয় আসামিকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

শুনানিতে দুদকের আইনজীবী ছিলেন কে বি এম আরিফুল হক। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. মজিবুর রহমান ওরফে টোটন মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার।

বাউফলের উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের অক্টোবরে হতদরিদ্র ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ টাকায় চাল বিক্রির কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেখানে তিনি ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন। নিয়ে প্রথম আলোতেবিত্তশালীরা পাচ্ছেন ১০ টাকার চাল, বঞ্চিত হতদরিদ্ররাথ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

 

এরপর তদন্তে নামে দুদক। তারা সত্যতা পেয়ে কনকদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে প্রধান আসামি করে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করে। ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি শাহিন হাওলাদার গ্রেপ্তার হন। ওই মামলায় একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস।

 

দুদকের আইনজীবী কে বি এম আরিফুল হক বলেন, ইতিমধ্যে দায় স্বীকার করে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে লাখ ৮৯ হাজার ৪০৮ টাকা জমা দিয়েছেন আসামিরা।

 

এদিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ সাইদুর রহমান কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে উপজেলার মানুষরা পাচ্ছেন না কোন প্রকারের সেবা।প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে।

 

বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ নুরুল আলম বলেন বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ছুটির দরখাস্ত দিয়েছে। কারাগারে আছেন সেই বিষয়ে  লিখিত কোন তথ্য পাইনি। তবে মৌখিকভাবে শুনেছি তিনি সাবেক কর্মস্থলের একটি মামলায় কারাগারে আছেন।