ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

ইউএনও-পুলিশের মামলায় বরিশালে আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মীর জামিন

আল মামুন, বরিশাল প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১

ইউএনও-পুলিশের মামলায় বরিশালে আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মীর জামিন
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলা ও পুলিশের কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় আওয়ামী লীগের বাকী ১২ নেতাকর্মীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় শুনানি শেষে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ্ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।

তিনি বলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম মাসুদ বাবলু এবং আমার জিম্মায় ১০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। 
গত ২৯ আগস্ট দুই মামলায় ১২ আসামির জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানির জন্য ২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। 

বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ১২ জনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

এর ফলে ২২ আগস্ট সিটি মেয়র, প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতকর্মীদের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছিল, সে সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তালুকদার মো. ইউনুস।


জামিনপ্রাপ্তরা হলেন: বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাঈদ আহম্মেদ মান্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. অলিউল্লাহ্, মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ, লিটন ঘোষ, মো. রফিকুল ইসলাম রাকিব, শুভ হাওলাদার, শুভ সাহা, রূপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শাহরিয়া বাবু, সাহিনুর ইসলাম শাহীন, হারুন-অর-রশিদ ও মো. মিরাজ গাজী।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট ওই দুই মামলায় ৯ নেতাকর্মীর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এ নিয়ে ইউএনও এবং পুলিশের মামলায় জামিন পেলেন আওয়ামী লীগের ২১ নেতাকর্মী।

উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে পুলিশ ও ইউএনও বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। দুটি মামলায় সিটি মেয়রকে প্রধান করে মোট ৬০২ জনকে আসামি করা হয়। মামলার ২১ আসামীকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

অন্যদিকে ২২ আগষ্ট সদর উপজেলার ইউএনও এবং কোতোয়ালী মডেল থানার ওসির বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। আদালত পিবিআইকে মামলার তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। যদিও ওইদিন রাতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্থতায় সিটি মেয়র ও প্রশাসনের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হয়।