'৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলব' এমন হুমকি দিয়ে গাজীপুরের টঙ্গী বড় দেওড়ার একটি কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে চাঁদা দাবি করেন টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিশু হায়দার ও তার সহযোগীরা।
এ ঘটনায় রোববার রাতে থানায় একটি মামলা হলে পুলিশ মিশু হায়দারকে গ্রেফতার করে।
কারখানার পরিচালক (প্রশাসন) এনামুল হক বাবু জানান, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মিশু হায়দার ও তার সহযোগীরা ২-৩ তিন মাস যাবত কারখানার এমডি জহুরুল ইসলামের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
একপর্যায়ে শনিবার বিকালে কারখানার প্রধান ফটকে দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ডদের বাধা উপেক্ষা করে তার সহযোগী সুমনসহ কয়েকজনকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে এমডিসহ সবাইকে গালমন্দ করতে থাকে। পরে তারা কারখানার এমডির অফিস কক্ষে ঢুকে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে। এ সময় বহু আগে চলে যাওয়া একজন অনিয়মিত শ্রমিকের কথিত পাওনার দাবিতে চড়াও হয়।
সন্ত্রাসী মিশু লাথি দিয়ে অফিসের চেয়ার ফেলে দিয়ে এডমিন ম্যানেজার মাহমুদকে মারধর করেন। পরে এমডি জহুরুল ইসলামকে মারার জন্য তেড়ে গেলে উপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তারা তাকে রক্ষা করেন। এ সময় সন্ত্রাসী মিশু হায়দার অফিস তছনছ করে কাগজপত্র ছিঁড়ে ছুড়ে ফেলে দেন এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা না দিলে এমডিকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যান।
এ ব্যাপরে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মিশু হায়দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হবে।
সুত্র: যুগান্তর