ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

দুই দফা দাবিতে কয়লা খনি শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর | আপডেট: সোমবার, এপ্রিল ২৫, ২০২২

দুই দফা দাবিতে কয়লা খনি শ্রমিকদের বিক্ষোভ
দুই দফা দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অধিনে কর্মরত শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ৭২ ঘন্টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে পরিবার পরিজন নিয়ে অবস্থান কর্মসূচীর ঘোষণা।

আজ রোববার সকাল সকাল ১১ টায় দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির প্রধান গেট থেকে কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের ব্যানারে খনি এলাকায় দাবি আদায়ের লক্ষ্যে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিটি খনি এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে একইস্থানে শেষ হয়। এসময় খনির গেট সংলগ্ন এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম, শ্রমিক নেতা এহসানুল হক সোহাগ, এরশাদ আলী, আবু তাহের প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, খনির শুরু থেকেই শ্রমিকরা কয়লা উত্তোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকে কয়লা উৎপাদন সচল রেখেছে। করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ওই সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছু সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কয়লা উত্তোলন অব্যাবহ রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী খনির লকডাউন উঠে গেলেও কয়লাখনির যেসব শ্রমিক বাড়ীতে অবস্থান করছিলেন, তাদেরকে তাদের স্ব স্ব কর্মস্থলে যোগ দানের বিষয়ে খনি কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহন নেননি । একইভাবে করোনা কালীন বেতন-ভাতা প্রদানের পদক্ষেপ নেননি খনি কর্তৃপক্ষ। এ কারণে বর্তমানে শ্রমিকরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাদের দুই দফা দাবী মেনে না নিলে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে খনি গেছে অবস্থান কর্মসূচী করতে বাধ্য হবেন।

পরে তারা খনির আবাসিক গেটে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কোম্পানী লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর সিকিউরিটি সুপারভাইজারের মাধ্যমে দুই দফা দাবী সম্বলিত একটি স্মারক লিপি প্রদান করেন।

এব্যাপারে মুঠোফোনো যোগাযোগ করলে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান জানান, চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে অধিনে কর্মরত প্রায় ১ হাজার শ্রমিক রয়েছে এর মধ্যে করোনার কারণে ৪৫০ থেকে ৫০০ জন শ্রমিক দিয়ে উৎপাদন কাজ চালানো হচ্ছে। ওই সময় যেসব শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়েছে,তারা কাজ না করেও বেতন ভাতা দাবি করছে। কিন্তু চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনও তাদের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হয়তো তাদের কাজে নিবেন।

তিনি বলেন, খনি কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে ওইসব শ্রমিকদের এককালিন অর্থ সহয়াতা দিয়া হয়েছেন। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পুণরায় অর্থ সহায়তার বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।