পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার যুবক রোহিনী চন্দ্র বর্মণ রনির সঙ্গে ইতি রানীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা পালিয়ে মন্দিরে বিয়েও করেন; কিন্তু বিষয়টি গোপন রাখেন তারা। এর মধ্যে একই গ্রামের মমতা রানীর সঙ্গে রোহিনীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর মমতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই বাধে বিপত্তি। পরিণামে বিয়ে; তাও দুইজনকে একসঙ্গে।
বিষয়টি প্রকাশ পেলে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। দুই নববধূকে দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় করেন যামিনী চন্দ্র বর্মণের বাড়িতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে তোলপাড়।
রোহিনী চন্দ্র বর্মণ রনি (২৫) উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদ্বার গ্রামের যামিনী চন্দ্র বর্মণের ছেলে। তার দুই স্ত্রী (প্রেমিকা) একই গ্রামের টোনো কিশোর রায়ের মেয়ে মমতা রানী (১৮) এবং উপজেলার গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রানীকে (২০)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রোহিনীর সঙ্গে ইতির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কয়েক মাস আগে তারা পালিয়ে গিয়ে মন্দিরে বিয়ে করেন। বিষয়টি দুজনই গোপন রেখেছিলেন। এদিকে মমতার সঙ্গেও রোহিনীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রোহিনী ১২ এপ্রিল রাতে মমতার সঙ্গে দেখা করতে যান। তখন সেখানে দুজনকে একত্রে দেখে ফেলেন মমতার পরিবারের লোকজন। রোহিনীকে আটকে রেখে ১৩ এপ্রিল মমতার সঙ্গে তার বিয়ে দিয়ে দেন পরিবারের লোকজন। রোহিনী বাড়ি ফিরে এলেও মামতা বাবার বাড়ি থেকে যান।
খবর পেয়ে বুধবার সকালে গাঠিয়াপাড়া থেকে ইতি চলে আসেন লক্ষ্মীদ্বার গ্রামে। তিনি স্ত্রীর দাবি নিয়ে রোহিনীর বাড়িতে অবস্থান নেন। খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেন। তারপর স্ত্রীর দাবি নিয়ে সেখানে আসেন মমতাও। একপর্যায়ে বুধবার রাতে তিন পরিবারের উপস্থিতিতে রোহিনীর বাড়িতে আবার বিয়ের আয়োজন করা হয়। তখন রোহিনীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই তরুণীর বিয়ে দেন পুরোহিত।
ওই তিন পরিবারের সদস্যরা বলেন, তাদের আগের বিয়ের বিষয়ে কিছু জানা ছিল না। তাই নতুন করে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করেছি। এ বিয়ে নিয়ে আমাদের কোনো পরিবারের কোনো আপত্তি নেই।
বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তারা একসঙ্গে সংসার করছে, তাই আমরাও আর মাথা ঘামাইনি।