ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

দেশে মহাসড়কে প্রথমবারের মতো বসছে আইটিএস

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, এপ্রিল ১৩, ২০২২

দেশে মহাসড়কে প্রথমবারের মতো বসছে আইটিএস

ফাইল ছবি

গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে রংপুর পর্যন্ত ২৬০ কিলোমিটার মহাসড়কে যানবাহন ও মালামাল পরিবহণ ব্যবস্থাপনা আরও গতিশীল করতে ইনটেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে জয়দেবপুর-রংপুর মহাসড়কে দুর্ঘটনার বার্তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাওয়া যাবে। এছাড়া মহাসড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যানবাহনের তথ্য সংগ্রহ ও গতি শনাক্তকরণ ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে। ঢাকায় সড়ক ও জনপথের রোড অপারেশন ইউনিটের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার থেকে পুরো কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে।

এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্প্রতি ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই) ও ফাইবারহোম টেলিকমিউনিকেশন টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকারের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সঙ্গে। এটি দেশের প্রথম নিরবচ্ছিন্ন ইনটেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) প্রকল্প। 

জয়দেবপুর থেকে রংপুর পর্যন্ত ২৬০ কিলোমিটার মহাসড়ক দক্ষিণ এশিয়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা বা সাসেক করিডোর হিসেবে পরিচিত। ১৫১ কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এই মহাসড়কে যানবাহন ও পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থাপনা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনটেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালনা করা সম্ভব হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

সাসেক রোড কানেক্টিভিটি প্রকল্প-২ (প্যাকেজ-১৫) বাস্তবায়িত হবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে। চুক্তিতে যৌথে উদ্যোগের পক্ষে স্বাক্ষর করেন এনডিই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান মুস্তাফিজ এবং সওজের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী একেএম মনির হোসেন পাঠান।

উদ্যেক্তারা বলেন, জয়দেবপুর থেকে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়কে ইনটেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমের অংশ হিসেবে ভেরিয়েবল মেসেজ সাইন (ভিএমএস), দুর্ঘটনার স্বয়ংক্রিয় বার্তা প্রদানের ব্যবস্থা ও মহাসড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। যানবাহনের তথ্য সংগ্রহ, গতিবেগ শনাক্তকরণ ব্যবস্থাও স্থাপন করা হবে। এনডিই’র পক্ষে কার্যক্রম সম্পাদন করবে এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান এনডিই সলিউশনস লিমিটেড এবং এমসিসি লিমিটেড।

এনডিই সলিউশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াদ এসএ হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি ভবিষ্যতে প্রযুক্তি নির্ভর আরও অনেক প্রকল্পের পথ প্রশস্ত করবে।’

এমসিসির চেয়ারম্যান মাকসুদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটি পরিবহণ নিরাপত্তা এবং গতিশীল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। প্রযুক্তি কীভাবে আমাদের দেশের অবকাঠামো উন্নত করতে পারে, এটি হবে তার নিখুঁত উদাহরণ।’

প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইলের পাকুল্লায়, বগুড়ার মহাস্থান এবং রংপুরের ইসলামপুর- এ তিনটি স্থানে মিডিয়াম স্পিড ওয়েই ইন মোশন সিস্টেমসহ এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপন করা হবে। এই এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশনের মধ্য দিয়ে যাওয়া যানবাহনের ওজন এবং শ্রেণি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ড করা হবে এবং তা ঢাকার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে পাঠানো হবে। অতিরিক্ত ওজন পাওয়া গেলে সেগুলো সিস্টেমের দ্বারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সড়ক ও মহাসড়ক এবং অন্য কোনো প্রাসঙ্গিক এনফোর্সমেন্ট কর্তৃপক্ষকে আরও চেকিং বা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য রিপোর্ট করা হবে। প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হবে।