ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ |

EN

মুক্তিযোদ্ধার নামে ‌‘পত্রিকা ফলক’ ভেঙ্গে দোকান নির্মাণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, এপ্রিল ১৩, ২০২২

মুক্তিযোদ্ধার নামে ‌‘পত্রিকা ফলক’ ভেঙ্গে দোকান নির্মাণের অভিযোগ
গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালুয়াহাট বাজারে অবস্থিত বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান পত্রকিা ফলক টি দীর্ঘ দিন থেকে অযন্ত আর অবহেলারয় পড়ে ছিল। বালুয়া হাট রহমতপুর এম এম উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি এ্যাড. আহসানুল করিম লাচু ও প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন এর নির্দেশে পত্রিকা ফলকটি ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে। এই স্থানে বানিজ্যিক ভাবে দোকান নির্মাণ করায় স্থানীয় জনসাধারণ মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ। 

জানা যায়, গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৬ নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালুয়া হাট বাজারে ২০১৬ সালে এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমুন্নত রাখতে এ অঞ্চলে জ্ঞানের আলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান পত্রিকা ফলক নির্মাণ করা হয়। সে সময় অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম আব্দুস সালাম সরকার এ প্রকল্পের আহবায়ক ছিলেন।

পত্রিকা  ফলকের পিছনের দিকে রাতের অন্ধকারে  মাটি কেটে গর্তের সৃষ্টি করলে পিছন দিকে হেলে পড়ে ফলকটি। পরে এটি ভেঙ্গে ফেলেন তারা। আবার সামনের অংশে ময়লার আর্জনার স্তূপ করায় মূল ফলকের পুরোটাই পত্রিকা লাগানোর অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অন্যদিকে ফলক চত্বরের একমাত্র রাস্তা উত্তর ও পশ্চিম দিকে লোহার গেট লাগিয়ে জনসাধারণের চলাচলের বাধা সৃষ্টি করেন তারা । 

গত ১৭ মার্চ এ এলাকার রহমতপুর এম এম উচ্চ বিদ্যায়ের সভাপতি এ্যাড . আহসানুল করিম লাচু ও প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন এর নির্দেশে পত্রিকা ফলকটি পুরোপুরি ভেঙ্গে ফেলে এই স্থানে একটি বানিজ্যিক দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়। 

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন জানান, সেখানে কোন পত্রিকা ফলক ছিলো না। এ বিষয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের পরিবার বিভিন্ন জায়গায় একাধিবার অভিযোগ দিয়েছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে পত্রিকার কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ওখানে টয়লেট ছিলো। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য জানেন এবং তিনি উক্ত দোকান ঘরটি উদ্ধোধন করেছেন। 

এবিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিউল আলম  জানান, বিষয়টি সর্ম্পকে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।