ঐক্য শিক্ষা সংস্কৃতি ও প্রগতি" চারটি মূলনীতি ও চিনি হুকুমু চিনি সিনিমুং (আমাদের সংস্কৃতি আমাদের পরিচয়) এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের কর্তৃক আয়োজিত বৈসু উৎসব -১৪৩২ ত্রিং ৩দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা'র শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার খাগড়াছড়ি সদরস্থ ঠাকুরছড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে এ উদ্বোধনী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুশীল জীবন ত্রিপুরা'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিকেএস'র কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি নলেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
উদ্বোধনকালে বক্তারা বলেন, ত্রিপুরা জজনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব হলো বৈসু। প্রত্যেক বছর জুম চাষের শুরুর আগে ত্রিপুরারা এ উৎসব পালন করে থাকে। এ উৎসব অনেকটা জুুম চাষ কেন্দ্রিক। যেহেতু বৈশাখ মাস থেকে পুরোদমে জুম চাষের কাজ শুরু হয়, তাই বিরতিহীন জুম কাজে হাত দেয়ার আগে ত্রিপুরারা বৈসু উৎসব উদযাপন/পালন করে থাকে। ত্রিপুরা জাতির বৈসু উৎসব প্রধানত তিনদিন। পুরনো বছরের শেষ দুইদিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন। হারি বৈসু, বৈসুমা ও বছর কাতাল। সাধারণত চৈত্রের ৩০, ৩১ ও বৈশাখের ১লা (এপ্রিলের ১৩, ১৪ ও ১৫) তারিখ এই তিন দিন বৈসু উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে। তবে, বাংলাদেশের প্রণীত বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী দিনটি হওয়ার কথা ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল। কিন্তু ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী এখনো পূর্বের অবিভক্ত বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ীই বৈসু উৎসব উদযাপন করে থাকে।
ত্রিপুরারা অবিভক্ত ভারতীয় উপমহাদেশের বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে সব ধরণের উৎসব, পুজা, পার্বন উদযাপন ও পালন করে থাকে।
আলোচনা সভা শেষে মাঠ প্রাঙ্গণে সুকুই (গিলা) খেলা, ওয়াকরাই, চপ্রিং, কাংটি/ কাং, ঐতিহ্যবাহী গরয়া/ গরিয়া নৃত্য প্রদর্শন ও ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যর শুভ সূচনা করেন অন্ষ্ঠুানের উদ্বোধক নলেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
এ সময় বিটিকেএস কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সুরেশ মোহন ত্রিপুরা, বাংলা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সঞ্জীব ত্রিপুরা, বিভীষুৎ ত্রিপুরা,সাধারণ সম্পাদক স্নেহাশীষ ত্রিপুরা মিঠু,খাগড়াছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞান দত্ত ত্রিপুরা, গোলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান উল্লাস ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি রানী ত্রিপুরা, গোলাবাড়ী ইউপি সদস্য লিলি ত্রিপুরা, সদর ইউনিয়নের সদস্য গৌরী মালা ত্রিপুরাসহ সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য, সাধারণ সদস্য ও বিটিকেএস’র বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।