বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে বৈসাবি উৎসব উদ্্যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, খাগড়াছড়ি ডিজিএফআই ডেট কমান্ডার কর্নেল ইসতিয়াক আহমেদ।
এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, বশিরুল হক ভূঞা, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের জিটুআই মেজর মো. জাহিদ হাসান, জেলা পরিষদ সদস্য শতরূপা চাকমা, নিলোৎপল খীসা, শুভ মঙ্গল চাকমা, শাহিনা আক্তারসহ সংশ্লিষ্টরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, বৈসাবি বাংলাদেশের পাহাড়ী জাতিগোষ্ঠীর প্রধান বর্ষবরণ উৎসব। বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু এই তিন নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে বৈসাবি নামের উৎপত্তি। পাহাড়ের মানুষের মাঝে শান্তি সম্প্রীতিতে পুরনো বছরের কালিমা আর জীর্ণতাকে ধয়ে নতুন বছরকে বরণ করে এ উৎসব পালন করে থাকে পাহাড়ের মানুষ। সকল সংস্কৃতির মাঝেই আমরা ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করি। আগে চৈত্র সংক্রান্তি যার যার মতো করে পালন হতো। ১৯৯৭ সাল থেকেই বৈসাবি ( বৈ = বৈসু, সা= সাংগ্রাই, বি= বিজু) পাহাড়ের এই তিনটি বৃহৎ সম্প্রদায় (ত্রিপুরা, চাকমা ও মারমা) কে প্রাধান্য দিয়ে উদযাপিত উৎসবকে এক সাথে বৈসাবি পালন করা হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন- বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চায় বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সকল সম্প্রদায়ের মানুষ একই ছাতার নিচে থেকে সকলেই সকলের উন্নয়নে সারথী হই। এখন বঙ্গবন্ধু নেই কিন্তু তাঁর সুযোগ্য কন্যা তিনি চান সকল সম্প্রদায়ের মাঝে যেন একটা ঐক্যের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয় সেই লক্ষ্যে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সকলেই নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালন করছি যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। তিনি বলেন- বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, জাতি- ধর্ম -বর্ণ সকলে মিলেই আমরা বাংলাদেশী। দেশের ১৮ কোটি মানুষের ৩৬কোটি হাতকে তিনি কাজে লাগিয়ে আগামী ৪১সালের মধ্যেই এদেশ উন্নত -সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে আহবান জানান।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি ও বিশিষ অতিথিরা স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।