কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর বাঘগুজারা রাবার ড্যামের দ্বিতীয় স্প্যানের রাবারের জোড়া ছিঁড়ে লোকালয়ে ঢুকছে সাগরের লোনা পানি। এতে হুমকিতে পড়েছে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার অন্তত ৫০ হাজার একর জমির বোরো ও রকমারি ফসল চাষ। দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের চোখেমুখে।
সোমবার দুপুরে বাঘগুজারা রাবার ড্যামের চার স্প্যানের মধ্যে দ্বিতীয় স্প্যানের রাবারের জোড়া ছিঁড়ে যায়। এতে ওই স্প্যান দিয়ে ড্যামের পূর্বাংশে ঢুকে পড়ে সামুদ্রিক অস্বাভাবিক জোয়ারের লবণাক্ত পানি। চকরিয়া ও পেকুয়ার কৃষকের কাছে এই খবর পৌঁছলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মাতামুহুরী নদীর বাঘগুজারার রাবার ড্যামের সহায়তায় আটকানো মিঠা পানি নিয়ে প্রায় ৫০ হাজার একর জমিতে প্রতি বছর শুস্ক মৌসুমে বোরোসহ রবিশস্যের চাষাবাদ করে আসছিলেন দুই উপজেলার কৃষক। বর্তমানে আমন মৌসুমে দুই উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ওই পরিমাণ জমিতে চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়ল।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর থেকে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ছিঁড়ে যাওয়া রাবারের স্প্যানটি মেরামত করে জোয়ারের পানি ঠেকানোর জন্য কাজ শুরু করেছে বলে দাবি করেছে।
পাউবোর সংশ্নিষ্ট শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী জামিল মোর্শেদ বলেন, সামুদ্রিক অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির চাপে ছিঁড়ে যাওয়া রাবারের জোড়া লাগানোর কাজ প্রাথমিকভাবে শুরু করা হয়েছে; যাতে চলতি মাস পর্যন্ত ড্যামের রাবারের সহায়তায় নদীর পূর্বাংশে মিঠা পানি ধরে রাখা যায়।
কক্সবাজার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী তানজির সাইফ আহমেদ বলেন, প্রতি বছর এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টিপাত শুরু হলে রাবার ড্যামের ব্যাগ ডাউন করা হয়। উজান থেকে নদীতে পানি নেমে আসা শুরু হওয়ার আগেই ড্যামের রাবার ব্যাগ ডাউন করে দেওয়া হয়। এবারও এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে রাবার ব্যাগ ডাউন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই একটি স্প্যানের রাবার ছিঁড়ে যাওয়ায় কিছুদিনের জন্য চাষাবাদে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে মেরামত করায় এ সমস্যা কেটে যাবে।
স্থানীয় কৃষকদের মতে, ছিঁড়ে যাওয়া রাবারের স্প্যানটি যথাসময়ে মেরামত করা সম্ভব না হলে চকরিয়া ও পেকুয়ার ১৫টি ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার একর জমির বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হবে।