পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইংরেজি বিভাগের মেধাবী ছাত্র অনিমেষ হালদার (২৪)। অনার্সে প্রথম শ্রেণি পেয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছিলেন। এ সময় ধরা পড়ে তাঁর ক্লোন ক্যানসার। বর্তমানে ভারতের ভেলোরের সিএসসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনিমেষের চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন।
কৃষক বাবা ছেলের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। এ অবস্থায় অনিমেষকে বাঁচাতে টাকা সংগ্রহের নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর বন্ধুরা।
অনিমেষ হালদার পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামের কৃষক সুনীল হালদারের বড় ছেলে।
এক সপ্তাহ ধরে অনিমেষের কয়েকজন বন্ধু হাটবাজার ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে এক লাখ টাকা তুলেছেন। কিন্তু অনিমেষের চিকিৎসার জন্য আরও ১৯ লাখ টাকা প্রয়োজন। তাই বন্ধুর চিকিৎসার জন্য নিজেরা টাকা সংগ্রহের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।
পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, ‘অনিমেষ মেধাবী ছাত্র। আমরা শুনেছি তাঁর চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। অনিমেষের বাবা দরিদ্র কৃষক। পরিবারের পক্ষে এত টাকা ব্যয় করে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। আমরা শিক্ষক ও ছাত্ররা সাধ্যমতো সহায়তার চেষ্টা করছি।’
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে অনিমেষের বাঁ পায়ে টিউমার ধরা পড়ে। তখন বরিশালের একটি ক্লিনিকে প্রথম অস্ত্রোপচার হয়। এর পাঁচ বছর পর ২০২০ সালের আগস্টে আবারও মলদ্বারে টিউমার ধরা পড়ে। এরপর সেপ্টেম্বরে ঢাকার একটি হাসপাতালে টিউমার অপারেশন করা হয়। কয়েক মাস পর অনিমেষ আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০২১ সালের মার্চে কলকাতায় পিয়ারলেস হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর তাঁর ক্লোন ক্যানসার ধরা পড়ে। ওখান থেকে ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত বছরের ৩০ জুন সেখানে অনিমেষের দেহে অস্ত্রোপচার করা হয়। এসব চিকিৎসা করাতে গিয়ে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করে তাঁর পরিবার। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অনিমেষের ক্লোন ক্যানসারের আরও একটি অস্ত্রোপচার করতে হবে। আর এ চিকিৎসার জন্য মুম্বাইয়ে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে তাঁকে। এ জন্য ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে।
অনিমেষের বাবা সুনীল হালদার বলেন, ‘ছেলের চিকিৎসার জন্য তিন বিঘা জমি বিক্রি করেছি। বসতবাড়ি ছাড়া আমার আর কোনো সম্পত্তি নেই। ছেলের চিকিৎসা করাতে এখন মানুষের কাছে হাত পাততে হচ্ছে।’
অনিমেষের বন্ধু অমিতাভ গুহ বলেন, ‘আমরা এক সপ্তাহ ধরে হাটবাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গিয়ে এক লাখ টাকা সংগ্রহ করেছি। চেষ্টা করে যাচ্ছি আরও কয়েক লাখ টাকা তোলার। কিন্তু এভাবে সব টাকা সংগ্রহ করতে পারব না। এ জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে আমাদের বন্ধুর জন্য সহায়তা চাচ্ছি।’
নিম্নোক্ত বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরে অনিমেষের চিকিৎসার জন্য অর্থসহায়তা পাঠানো যাবে—
অনিমেষ হালদারের বাবা সুনীল হালদারের বিকাশ নম্বর ৮৮০১৭৫৬৭২৭৫২৫।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর: ২০৩৮৫, সুনীল হালদার (Sunil Halder), ইসলামী ব্যাংক, পিরোজপুর শাখা।