ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে প্রাণ গেল আড়াই বছরের শিশুর

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, আগস্ট ৩১, ২০২১

প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে প্রাণ গেল আড়াই বছরের শিশুর

সুনামগঞ্জের ধরমপাশায় প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে শিশুটির নাম দুর্জয় মিয়ানিহত দুর্জয় মিয়া উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের আবিদনগর নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক ছালেক মিয়ার (৩০) ছেলে পারিবারিক নানা বিরোধের জের ধরে আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে

প্রত্যক্ষদর্শী স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছালেক মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী কৃষক জয়নাল মিয়ার (৩৫) বাড়ির সীমানা নির্ধারণসহ পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে আজ বেলা দেড়টার দিকে ছালেক মিয়া তাঁর শিশুপুত্র দুর্জয়কে নিয়ে জয়নাল মিয়ার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন সময় জয়নাল নিজ বাড়ির উঠানে ধারালো দা দিয়ে বাঁশ কাটছিলেন সময় দুজনের কথা-কাটাকাটির জেরে জয়নাল তাঁর হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে ছালেকের মাথায় কোপ মারেন সময় ছালেক মাথা সরিয়ে নিলে দায়ের কোপটি তাঁর আড়াই বছর বয়সী সন্তান দুর্জয়ের মাথার মাঝখানে লাগে এতে শিশুটির মাথাটি কেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলে ঘটনাস্থলেই সে অচেতন হয়ে পড়ে

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, শিশুটির মাথার মাঝের অংশ কেটে সরে গিয়ে সামান্য কিছু অংশ লেগে রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে

পরিবারের সদস্যরা দ্রুত শিশুটিকে নিয়ে ধরমপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা দেন বেলা পৌনে তিনটার দিকে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত শিশুটির লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ছিল

শিশুটির চাচা আবিদনগর নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান (৪০) বলেন, ‘জয়নাল মিয়ার ধারালো কোপের আঘাতে আমার আড়াই বছরের ভাতিজা দুর্জয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমরা ঘটনায় জয়নাল মিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

ঘটনার পর থেকে জয়নাল মিয়া গা ঢাকা দিয়েছেন। মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি

ধরমপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসা কর্মকর্তা আনোয়ার জাহিদ সরকার বলেন, শিশুটির মাথায় ধারালো দা দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে দেখে মনে হয়েছে মাথার মাঝের অংশ কেটে সরে গিয়ে সামান্য কিছু অংশ লেগে রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্মল দেব প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে আছি। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।