কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছে আরও এক হাজার ৯৬ জন রোহিঙ্গা। মঙ্গলবার দুপুরে ২০টি বাসে টেকনাপের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে তারা ভাসানচরে উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে রওনা দেয় তারা।
বিকালে আরও একটি দল ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়া ত্যাগ করার কথা রয়েছে। আজ চট্টগ্রামে থাকবে তারা। বুধবার সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে ভাসানচরে পৌঁছবে।
রোহিঙ্গাদের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ১৪ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমুল হক জানান, এবার ১৩ দফার প্রথম ধাপে প্রথম অংশে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে প্রায় ১১শ’ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে রওনা দিয়েছে। বিকালে আরও একটি রোহিঙ্গা দল যাওয়ার কথা রয়েছে। তারা কতজন যাবে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। বুধবার নৌবাহিনীর জাহাজে করে ভাসানচরে পৌঁছবে তারা।
অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসু দ্দৌজা নয়ন জানান, এবার ২ থেকে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ১২ দফায় প্রায় ২৪ হাজার রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠানো হয়। এছাড়া গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে দেশটি থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আগের ও তখনকার মিলিয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে বসবাস করছে। ওই বছরের নভেম্বর মাসে কক্সবাজার থেকে এক লক্ষ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে।