মোবাইল ফোনে পরিচয়। কথাও হয় দুই মাস। এর পর পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দিয়ে এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। পরে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াতকালে লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের জিয়েলগাড়িপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই প্রতারকের নাম উৎপল মণ্ডল (৪০)। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মকছেদপুর থানার দিস্তাই গ্রামের নিরাপদ মণ্ডলের ছেলে।
ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী জানান, ফরিদপুর সারদা সুন্দরী কলেজের ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় উৎপল মণ্ডলের। সে নিজেকে কিশোরগঞ্জ এসপি অফিসের অধীনে বাংলাদেশ পুলিশের এসআই পরিচয় দেন এবং আইডি কার্ড প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে প্রেমে জড়িয়ে ফরিদপুর কোর্টে দুই মাস আগে এভিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেন।
পরে ওই ছাত্রী তার পরিবারের কাছে বিষয়টি খুলে বলেন। এর পর বৃহস্পতিবার রাতে উৎপল শ্বশুরবাড়িতে আসার পর পরিবারের লোকজন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ভুয়া পরিচয়ের কথা স্বীকার করেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উৎপল আগেও ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারীতে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ আছে।
এ বিষয়ে নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর বলেন, পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণাকারীকে স্থানীয় লোকজন ধরে আমাকে খবর দেয়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারিকুজ্জামান বলেন, প্রতারণার শিকার পরিবারের লোকজন তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। অভিযোগ করার পর মামলা করা হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।