Can't found in the image content. ঘর পোড়া বস্তিবাসীর পেটে খাবার নেই, আকাশ হয়েছে ছাদ | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

কল্যাণপুরে বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড

ঘর পোড়া বস্তিবাসীর পেটে খাবার নেই, আকাশ হয়েছে ছাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, মার্চ ২২, ২০২২

ঘর পোড়া বস্তিবাসীর পেটে খাবার নেই, আকাশ হয়েছে ছাদ
চার বছর বয়সী সন্তানকে বাসায় রেখে শাহানাজ যখন দুধ কিনতে দোকানে গিয়েছিলেন, তখনই বস্তিতে আগুন লাগে। চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন থাকায় ভেতরে প্রবেশ করতে পারছিলেন না তিনি। বিলাপ করতে করতে একপর্যায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বস্তিতে যান। সেখানে গিয়ে ঘর থেকে সন্তানকে উদ্ধার করে বাইরে আসেন।

ছেলেকে উদ্ধার করতে পারলেও আগুনে ঘর পুড়েছে শাহানাজের। গত রোববার রাত পৌনে নয়টার দিকে রাজধানীর কল্যাণপুরের বেলতলা এলাকার ৯ নম্বর বস্তিতে লাগা আগুনে শাহনাজের ঘরসহ পুড়ে যাওয়া ঘরের সংখ্যা দুই শতাধিক। বস্তিবাসীরা জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার পর্যন্ত কারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

শাহানাজের স্বামী আবদুল হাই গতকাল বিকেলে বলেন, ঘরের চারপাশে লাগানো টিন আর আগুনে পুড়ে যাওয়া খাটের কাঠ ছাড়া তাঁর ঘরে আর কিছুই নেই। সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার আগপর্যন্ত খোলা আকাশের নিচেই থাকতে হচ্ছে। আবদুল হাই বলেন, আগুন নিভে যাওয়ার পর ঘরে গিয়ে একটি হাঁড়ি-পাতিলও খুঁজে পাননি। একটি চক্র মালামাল লুটপাট করেছে।

ভোলার লালমোহন থেকে এসে সাত বছর আগে কল্যাণপুরের এ বস্তিতে বসবাস শুরু করেন আবদুল হাই। দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে সেখানে বসবাস করছিলেন তিনি। আগুনে সব হারিয়ে এখন পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পেশায় রিকশাচালক আবদুল হাই।

এদিকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অনেকের গতকাল বিকেল পর্যন্ত খাবার জোটেনি। পুড়ে যাওয়া বস্তির ছবি তুলতে গেলে আক্ষেপ করে আলী আকবর নামের এক বস্তিবাসী বলেন, ‘সব তো পুড়ে ছাই। না খেয়ে আর কতক্ষণ থাকব।’

আলী আকবরের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, গতকাল দুপুর পর্যন্ত বস্তিবাসীদের কেউ খাবার দেয়নি। আশপাশের বস্তিতে যাঁদের স্বজন আছেন, তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের দুপুরের খাবার দিয়ে যান। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে খুকুমণি ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি সংগঠনকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে খাবার বিতরণ করতে দেখা যায়।

ঢাকার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে গতকাল বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ২৭৯টি পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে।

সুত্র: প্রথম আলো