দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে সড়কে সংঘটিত সব হত্যার বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া সহ ৯ দাবিতে রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৩ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রথমে বিআরটিএ ভবনের সামনে অবস্থান নেয় নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে বনানীর প্রধান সড়কে নামে এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এসময় বনানী-মহাখালী সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম আপন বলেন, আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আমরা এর আগেও আন্দোলন করেছি। কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীদের যেসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে:
১. দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে সব সড়ক হত্যার বিচার করতে হবে ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
২. ঢাকাসহ সারাদেশে সব গণপরিবহনে (সড়ক,নৌ, রেল) শিক্ষার্থীদের হাফ পাস নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে ।
৩. গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং জনসাধারণের চলাচলের জন্য যথাস্থানে ফুটপাত, ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপত্তা ব্যাবস্থা দ্রুততর সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।
৪. পরিবহন শ্রমিকদের কর্ম পরিবেশ ও কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সব যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকের যথাযথ পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
৫. পরিকল্পিত বাস স্টপেজ ও পার্কিং স্পেস নির্মাণ এবং যথাযথ ব্যাবহার নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে।
৬. দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের দায়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহলকে নিতে হবে।
৭. যানবাহন চালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধতার আওতায় আনতে হবে এবং বিআরটিএ'র সব কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৮. আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মানে ঢাকাসহ সারাদেশে ট্রাফিক ব্যাবস্থাপনা অবিলম্বে স্বয়ংক্রিয় ও আধুনিকায়ন এবং পরিকল্পিত নগরায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
৯. ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে।