সব জল্পনা ও নানান সিনেম্যাটিক ঘটনার পর টানা তৃতীয়বারের মতো শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
গেল বুধবার (২ মার্চ) আদালতের রায় পাওয়ার পর বিকেলেই এফডিসিতে যান এই নায়ক। ১ মাস ৪ দিন পর সেখানে গিয়ে দেখেন সমিতির অফিসে তালা দেওয়া। পরবর্তীতে সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের হুঁশিয়ারিতে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে সমিতির অফিসের তালা খুলে দেওয়া হয়। সমিতির অফিসে ঢুকে নিজের কাঙ্ক্ষিত চেয়ারে বসেন জায়েদ খান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কালজয়ী অভিনেত্রী সুচরিতা, অরুণা বিশ্বাস, চিত্রনায়ক জয় চৌধুরীসহ শিল্পী সমিতির কয়েকজন সদস্য।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) থেকে নিজের দায়িত্ব পালন করা শুরু করেছেন জায়েদ খান। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, “আজ ১টার দিকে সমিতির অফিসে এসেছি। এসেই ধোয়ামোছার কাজ করিয়েছি। এরপর সংগঠনের পক্ষ থেকে ‘ট্র্যাপ’ নামে একটি সিনেমার মহরতে উপস্থিত হয়েছিলাম। সংগঠনকে এগিয়ে নিতে আমরা একটি মিটিংও করেছি। আগামীকাল কার্যনির্বাহী সভা রয়েছে। সেজন্য সবার সঙ্গে কথা বলছি। আমাদের নির্বাচিত সব সদস্যের একসঙ্গে ছবি বোর্ডে টানানোর কাজ করেছি। চেয়ারে বসেছি, এখন পুরোদমে কাজ চলবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম থেকে আমি কোনো অন্যায় করিনি। এর আগে আদালতের রায়ের পর আমি চাইলে চেয়ারে বসতে পারতাম, কিন্তু বসিনি। আমি চেয়েছিলাম, পুরো বিষয়টি সুরাহা হলেই নিয়ম মেনে চেয়ারে বসব। আমার সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে আজ দেখা হয়েছে। কাঞ্চন ভাই খুশি। আমাদের কথা হয়েছে, একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করব।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে ১৩ ভোটে জয়ী হন জায়েদ খান। পরাজিত প্রার্থী নিপুণ আক্তার পুনরায় ভোট গণনা করার আবেদন জানান। সেখানেও জয় পান জায়েদ। এরপর তার বিরুদ্ধে ভোট কেনার অভিযোগ তুলে আপিল করেন নিপুণ। সুরাহা না হওয়ায় বিষয়টি আদলত পর্যন্ত গড়ায়। অবশেষে বুধবার (২ মার্চ) হাইকোর্টের রায়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন জায়েদ খান।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল দায়ের করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন নিপুণের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।