ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

বিদায়ের আগে নির্বাচনী চ্যালেঞ্জের মুখে নির্বাচন কমিশন

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৬, ২০২১

বিদায়ের আগে নির্বাচনী চ্যালেঞ্জের মুখে নির্বাচন কমিশন

কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ রয়েছে আর মাত্র পাঁচ মাস। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বিদায় নেবেন। তবে বিদায়ের আগে নির্বাচনী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। গত সোমবার ইসির ৮৪তম সভায় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সব নির্বাচন শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন হবে ৪ সেপ্টেম্বর। এ ছাড়া কুমিল্লা-৭ আসনে উপনির্বাচন, স্থগিত ১৬৭ ইউপি নির্বাচন, দেশব্যাপী ইউপি নির্বাচন, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন, জেলা পরিষদ ও ৯ পৌরসভার নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে করতে হবে ইসিকে। 

এদিকে নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে সারা দেশে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ, নির্বাচনী উপযোগী পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন করা নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। এই সব নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে কমিশনকে। এর মধ্যে রয়েছে, করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কম সময়ে এত বেশি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এই সব নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। বিদায়ের আগে ভোটারের আস্থা অর্জন করে ভোট কেন্দ্রে ফেরানো। নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে সুনামের সঙ্গে বিদায় নেওয়া। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি ও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলছে সরকার। তবে এই দুই পরীক্ষার মধ্যে সারা দেশে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা কঠিন হবে। কেননা সব স্কুল-কলেজগুলো ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে ইসি। পার্শ্ববর্তী দেশে আগামী অক্টোবরে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে। তাই এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে পারে। তাই অক্টোবর-নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠান চ্যালঞ্জ হবে। দীর্ঘ দিন বিভিন্ন স্থানীয় সরকারের নির্বাচন বন্ধ থাকায় জেলা পরিষদের ভোটার তালিকা তৈরি করা নিয়েও জটিলতা দেখা দেওয়ার কথা বলছেন ইসির নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। 

এদিকে গত ১১ আগস্ট থেকে নির্বাচন উপযোগী হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। ইসি জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর এই সিটিতে ভোট গ্রহণ হয়। প্রথম সভা হয় ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসাবে মেয়াদ শেষ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে সিটি নির্বাচন করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ বিষয়ে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে নারারণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউপি, জেলা পরিষদসহ অন্যান্য নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এছাড়াও গত ২৮ জুলাই সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর এক দিন আগে আদালতের আদেশে ভোট স্থগিত করা হয়। অন্যদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সবশেষে ২১ জুন ভোট প্রথম ধাপে ২০৪ ইউপির নির্বাচন হয়। এ সময় ১৬৭ ইউপির নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়। এসব নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন।