ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

মার্চের মধ্যে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল?

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৬, ২০২১

মার্চের মধ্যে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল?

আগামী জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে আওয়ামী লীগ কাউন্সিল করতে চায়। আওয়ামী লীগ নীতিনির্ধারক এবং হাই কমান্ডের এমনটাই ইচ্ছা। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও আগাম কাউন্সিলের ইঙ্গিত দিয়েছেন। দলের অনিষ্পন্ন সব জেলার সম্মেলন দ্রুত শেষ করতে বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

দলের অধিকাংশ সক্রিয় নেতাই বলছেন, আমরা আগামী বছরের শুরুতেই কাউন্সিল করতে চাই।’ আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন ‘আগামী বছর থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হবে। প্রার্থী বাছাই, মাঠ জরীপ করতে হবে। তাই তার আগেই সংগঠন গুছিয়ে ফেলতে হবে।’

আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন ‘দলের সভাপতি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই কাউন্সিল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করোনার জন্য, সেখান থেকে আমাদের সরে আসতে হয়েছে।’ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, করোনার প্রকোপ কমে আসার সাথে সাথে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি গুলো নতুন সম্মেলনের মাধ্যমে পুণ:গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা এনিয়ে কাজও শুরু করেছেন।

উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সাধারণত: আওয়ামী লীগ তিন বছর পরপর কাউন্সিল করে। সে হিসেবে ২০২২ এর ডিসেম্বরে কাউন্সিল হবার কথা। কিন্তু ২০২৩ এর ডিসেম্বরে সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা। আওয়ামী লীগ সাধারণত: নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রস্তুতি শুরু করে ২ বছর আগে। তাছাড়া, আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের অবস্থা ভালো নয়। কোন্দলে জর্জরিত। এরকম অবস্থায় নির্বাচন প্রস্তুতি শুরু করলে তা হীতে বিপরীত ফল দিতে পারে।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ একাধিক নেতা বলছেন, গত দুই বছরে আওয়ামী লীগের নেতারা করোনার মহামারীকে দায়ী করেন। তবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই বলেন কেন্দ্রীয় নেতাদের ব্যর্থতার জন্য দলের চেইন অব কমান্ড নষ্ট হয়ে গেছে। এমপিদের কারণে জেলায় জেলায় বিভক্ত হয়ে পরেছে আওয়ামী লীগ। ৪২টির বেশী জেলায় মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি আওয়ামী লীগের জন্য বড় মাথাব্যথা। এরকম পরিস্থিতিতে, কাউন্সিলের মাধ্যমেই দলকে নতুন প্রাণশক্তি দিতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, আগামী নির্বাচনকে ঘিরেই আমাদের সব পরিকল্পনা। কারণ আগামী নির্বাচন হবে সবচেয়ে কঠিনতম নির্বাচন।