গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি)। এতে আহত হয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩০ জন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, হামলার পর গোপালগঞ্জর সকল স্তরের জনগণের ওপর থেকে তারা আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ না করলে এবং ধর্ষক ও হামলাকারীদের বিচার না হলে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রত্ব ও শিক্ষকতা ছেড়ে চলে যাবেন।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার চলে যাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে হামলার শিকার হন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাই এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি বিশ্বাস উঠে গেছে। এই পরিস্থিতিতে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আশা করেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের বিচার প্রত্যাশা করেন। এ সময় বৃহস্পতিবারের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষ হলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ২৫ মিনিটে গোপালগঞ্জ জেলা স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদরের নবীনবাগ হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তাদের অটোতে তুলে নেওয়া হয়। পরে ৭-৮ জন মিলে তাদের গোপালগঞ্জ জেলা স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধুকে মারধর করে ওই শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রথমে সদর থানা এবং পরে মহাসড়ক অবরোধ করে। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় প্রথম দফায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঘোনাপাড়া মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় কয়েকজন আহত হন। এরপর দ্বিতীয় দফায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়।