ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

হেফাজতের নতুন আমীরের ঐক্যের আহ্বান

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, আগস্ট ২৫, ২০২১

হেফাজতের নতুন আমীরের ঐক্যের আহ্বান

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বিভক্ত হেফাজতে ইসলামের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। গত ১৯ আগস্ট রাতে দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো সংগঠন নিয়ে কথা বললেন তিনি। এদিন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আহ্বান জানান প্রবীণ এই আলেম।

 

বিবৃতিতে মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, আসনু সবাই এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করি। দেশের সর্বস্তরের মুসলিম জনতার সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। রকম একটি সংগঠন যাতে দেশ জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে পারে সেজন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করি। যাতে দেশের মানুষ তাদের দ্বীন, ঈমান আমল-আখলাকের ব্যাপারে স্বস্তি ফিরে পায়।

 

হেফাজতে ইসলামের নতুন আমীর বলেন, দেশের সব তৌহিদি জনতার কাছে আমার আকুল আবেদন, সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আপনারা মুরুব্বিদের পরামর্শক্রমে আগের মতো সম্মিলিতভাবে পূর্ণ এখলাসের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের হাতকে মজবুত করুন। এভাবে কাজ করতে পারলে মুসলিম জনতার প্রাণের আশা পূরণে সক্ষম হবে হেফাজতে ইসলাম।

 

মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী আরো বলেন, আমার কলিজার টুকরা প্রিয় ভাগিনা জুনায়েদ বাবুনগরী (হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের তৎকালীন আমীর) ১৯ আগস্ট হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। পরে সংগঠনের হেফাজতের বর্তমান মজলিসে শুরা কার্যকরী পরিষদের পরামর্শক্রমে আমীরের শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে ওই দিন দিবাগত রাত ১১টা ২৫ মিনিটে তার জানাজার ঠিক আগ মুহূর্তে আমার নাম ঘোষণা করা হয়। যদিও আমার পক্ষে এই মহৎ দায়িত্ব পালন করা খুবই কঠিন। কারণ আমার বয়স হয়েছে এবং আমি অনেক অসুস্থ।

 

তবে যেহেতু আমার নাম ঘোষণা করা হয়ে গেছে, তাই যথা সম্ভব সবার সুপরামর্শ নিয়ে আমি এই ঈমানি সংগঠনকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে সকলের সহয়োগিতা কামনা করছি, বিবৃতিতে বলেন হেফাজত আমীর।


আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে একটি অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আমাদের কিছু লোকে চলে গেছেন, কিন্তু তাই বলে হেফাজতে ইসলাম চলে যাবে এমটা হওয়া উচিত নয়। আমাদের ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে ততক্ষণ সঠিক আকিদা-বিশ্বাস, ইসলামী চিন্তা-চেতনা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মেহনত চালিয়ে যেতে হবে, যতক্ষণ আমাদের দেহে প্রাণ আছে।