প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করা ১০ জনের নামের তালিকা আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবে অনুসন্ধান কমিটি। আজ সন্ধ্যা সাতটার দিকে অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা বঙ্গভবনে যাবেন। আর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র বলছে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের সিদ্ধান্ত আজ হতে পারে।
২০১৭ সালে যেদিন অনুসন্ধান কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে নামের প্রস্তাব সুপারিশ করেছিল, সেদিনই (৬ ফেব্রুয়ারি) ইসি গঠন করা হয়েছিল। কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ওই কমিশনের মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে।
অনুসন্ধান কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, এবারও সিইসি হিসেবে সাবেক একাধিক আমলার নাম বেশি আলোচিত হচ্ছে। যদিও অনুসন্ধান কমিটি এ নিয়ে কোনো কথা বলেনি।
অবশ্য কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, সামরিক ও বেসামরিক সাবেক আমলা, সাবেক বিচারক এবং শিক্ষকের নাম ১০ জনের তালিকায় রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সবাই এখন বঙ্গভবনের দিকে চেয়ে আছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির।
তবে সংবিধানে বলা আছে, কেবল প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ছাড়া রাষ্ট্রপতি অন্য সব দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার বৈঠক করে ১০টি নাম চূড়ান্ত করে তা সিলগালা করে রাখে অনুসন্ধান কমিটি। নাম চূড়ান্ত করতে অনুসন্ধান কমিটি নিজেদের মধ্যে মোট সাতটি বৈঠক করেছে। এ ছাড়া নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আরও চারটি বৈঠক করেছে তারা।
এবারই প্রথম আইন অনুযায়ী ইসি গঠিত হচ্ছে। গত ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে আইন পাসের পর ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অপর পাঁচ সদস্য হলেন হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। এই কমিটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। ব্যক্তিপর্যায়েও নাম আহ্বান করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে কমিটি। এরপরও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকে আরও কিছু নামের প্রস্তাব আসে। সব নাম কাটছাঁট করে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে অনুসন্ধান কমিটি।
চূড়ান্ত তালিকার মধ্যে সিইসি পদে সাবেক সচিবের নাম শোনা যাচ্ছে, এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অনুসন্ধান কমিটির একজন সদস্য গতকাল বুধবার বলেন, ওই রকমই হতে পারে।