Can't found in the image content. কেরানীগঞ্জে নিপুণ রায়কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

কেরানীগঞ্জে নিপুণ রায়কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২২

কেরানীগঞ্জে নিপুণ রায়কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাড‌ভো‌কেট নিপুন রায় চৌধুরীকে কেরানীগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার বিকালে জিনজিরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ।

আওয়ামী লীগ, বর্তমান সরকার, প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য প্রদান ও কেরানীগঞ্জের সুন্দর পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন নিপুণ রায় চৌধুরী- এমন অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ম ই মামুন, জিনজিরা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সাকুর হোসেন সাকুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী।

সমাবেশে শাহীন আহমেদ বলেন, নিপুণকে যেখানেই দেখা যাবে সেখানেই প্রতিহত করা হবে। তাকে কেরানীগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।

উপজেলার কোণ্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর হোসেন নুরুর অসুস্থ মা ও তার স্বজনদের ওপর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন নিরবের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার বিকালে জিনজিরার দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নিপুণ রায় চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, কোণ্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির মা অসুস্থ। বৃহস্পতিবার সকালে কয়েকজন নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে তাকে দেখতে যান তিনি। এ সময় অতর্কিত রোগীর বাড়িতে ঢুকে তাকেসহ আত্মীয়-পরিজনের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় নেতৃত্ব দেন থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম।

সংবাদ সম্মেলন শেষ করে জিনজিরা সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে পুলিশ এসে লাঠিপেটা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিপুণ রায়সহ বিএনপির ১৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে শুক্রবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই সুব্রত দাস বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

মামলায় নিপুণ রায়সহ আসামিরা বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করে দাঙ্গা সৃষ্টি, সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা, পুলিশকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির বলেন, তারা (বিএনপি) অনুমতি না নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে প্রোগ্রাম করছিল। এতে জনদুর্ভোগ তৈরি হয়। আমরা বারবার অনুরোধ করার পরও তারা রাস্তা থেকে সরেনি। একপর্যায়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। রাস্তা থেকে সরে বিভিন্ন গলি থেকে পুলিশের উপর ইট, কাচের বোতল ছুড়তে থাকে তারা। এতে তিনিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

এসব বিষয়ে জানতে নিপুণ রায় চৌধুরীর মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজাদ্দেদ আলী বাবু বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের একজন নেতার বাড়িতে ঢুকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে ও তার পরিবারের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে উল্টো মামলার শিকার হলাম। মার খেলাম আমরা (বিএনপি), আবার মামলাও খেলাম আমরা। বিচার দেব কার কাছে?