সম্প্রতি বরিশালে ঘটে যাওয়া ইউএনও’র বাসায় হামলা নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাধারন জনগন’-এমনটাই মন্তব্য করেছেন বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সিটি কর্পোরেশন মেয়র অ্যাড.মুজিবুর রহমান সরোয়ার।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসন ও আওয়ামীলীগ একই পথের পথিক। তাদের এই নাটকীয় রেশারেশিতে বরিশাল নগরীর সাধারন জনগনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ৩দিন যাবত ময়লা অপসারন বন্ধ থাকায় জনগনের দূর্ভোগের সীমা ছিল না। এখন সমঝোতা হয়েছে কিন্তু জনগনের এই ভোগান্তির দায় কে নেবে ? সিটি মেয়র না কি প্রশাসন ?
গত ১৮ আগস্ট রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের বাসায় কয়েক দফা হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের রুখতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই দুটি করে মামলা দায়ের করে।
পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে রোববার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ভুল বুঝাবুঝির অবসান এবং পুলিশ ও ইউএনও’র দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর।
বৈঠকে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, র্যাব সিইও মো. জামিল হোসেন, জেলা প্রশাসক জসীমউদ্দিন হায়দার, পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটুসহ মোট ১১ জন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।