ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, আগস্ট ২২, ২০২১
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ
ঠেকাতে সরকার প্রদত্ত লকডাউন ছিল টানা ১৯ দিন। এ সময় বন্ধ ছিল রিকশা ছাড়া অন্য সব যানবাহন।
পরে গত ১১ আগস্ট থেকে লকডাউন শিথিল করা হলে চালু হয় গণপরিবহন। তখন অর্ধেক যানবাহন চালু
হলেও গত ১৯ আগস্ট থেকে সড়কে শতভাগ গণপরিবহন চলাচল শুরু করেছে। কিন্তু গণপরিবহনগুলো
মানছে না সরকারের বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি। কারোর মাস্ক থুতনিতে বা কারোর মুখে
মাস্কই নেই। এভাবেই চলছে গণপরিবহনগুলো।
যদিও সরকারের পক্ষ থেকে
বলা হয়েছে, বাসে যাত্রী পরিবহন করতে হলে, মানতে হবে সরকারের বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি।
এক্ষেত্রে চালক, হেলপার ও যাত্রী সবার জন্যই মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরেজমিনে
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে বাসের চালক-হেলপারদের কেউই সঠিকভাবে মাস্ক পরছে
না। কেউ কেউ পরলেও মাস্ক তাদের থুতনিতে স্থান পেয়েছে।
মাস্ক না পরার বিষয়ে বাস
চালক লাল মিয়া বলেন, এইদিকে তো বেশি যাত্রী আসে না। তাই মাস্ক খুলেই বাস চালাচ্ছি।
প্রায় সময় পরে থাকলেও এখন খুলে রেখেছি।
একই বাসের যাত্রী শরিফুল
ইসলাম বলেন, এই বাসের হেলপার আমাদের কাছে ভাড়া তুলতে এসেছে মাস্ক ছাড়া। বলার পর সে
পকেট থেকে মাস্ক বের করে পরেছে। এভাবে সব বাসেই চালক, হেলপাররা ঠিকমতো মাস্ক পরে না
এবং তাদের মধ্যে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এইভাবে
গণপরিবহন চালিয়ে তারা আবার তাদের নিজের বিপদই ডেকে আনছেন। কারণ করোনার সংক্রমণ আবার
বৃদ্ধি পেলে সরকার লকডাউন আবারও ঘোষণা করতে পারে। সেক্ষেত্রে গণপরিবহন আবার বন্ধ হয়ে
যাবে এবং তাদের রোজগার আবারও শঙ্কার মুখে পড়বে। এক্ষেত্রে তাদের বুঝে শুনে কাজ করা
উচিৎ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিৎ।