নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, আগস্ট ২১, ২০২১
পদ্মা
সেতুতে গ্যাস পাইপ স্থাপনের কাজ
শুরু হয়েছে। শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে সেতুর রেলপথের পূর্ব পাশে শুরু হয়েছে
এসব পাইপ স্থাপনের কাজ।
সেতুর ছয় দশমিক ১৫
কিলোমিটার অংশে ৫৩১টি পাইপ
বসানো হবে। পাইপগুলোর দৈর্ঘ্য
১২ মিটার, ব্যাস ৭৬০ মিলিমিটার, ওজন
পাঁচ দশমিক ৬৭ টন।
বুধবার
বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর
পর্যন্ত চারটি গ্যাস পাইপ স্থাপন করা
হয়েছে।
পদ্মা
সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের ও সহকারী প্রকৌশলী
আহসান উল্লাহ মজুমদার শাওন দ্য ডেইলি
স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত
করেছেন।
গতকাল
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় এসব পাইপ
৪২ ও ৪১ নম্বর
পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে বসানো শুরু হয়। পাইপলাইন
স্থাপন কাজ করছে চায়না
পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।
মূল
সেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ মজুমদার শাওন জানান, ধাপে
ধাপে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে পাইপ আসছে। এরপর
সেখান থেকে জাজিরা প্রান্তে
নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থাপনের জন্য। চীন থেকে গ্যাস
পাইপ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে, তারপর সেখান
থেকে সড়কপথে আনা হয়।
তিনি
জানান, পিলারের ওপর স্থাপন করা
স্প্যানের সাপোর্টে রাখা হচ্ছে পাইপ।
তারপর একটি পাইপের সঙ্গে
আরেকটি পাইপ ঝালাই করে
দেওয়া হচ্ছে। কাজ সম্পন্ন শেষে
ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুর
এক নম্বর পিলারে স্থাপন করা পাইপের ভেতর
দিয়ে গ্যাস যাবে জাজিরা প্রান্তের
৪২ নম্বর পিলারে।
মাওয়া
প্রান্তের এক নম্বর পিলার
দিয়ে গ্যাস যাবে, আর জাজিরা প্রান্তের
৪২ নম্বর পিলার হয়ে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে
পৌঁছে যাবে। পাইপ স্থাপন জাজিরা
প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে
শেষ হবে মাওয়ায়।
পদ্মা
সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের জানান, পদ্মা সেতুতে ৩৭টি স্ল্যাব বসানো
বাকি আছে। আবহাওয়াসহ সবকিছু
অনুকূলে থাকলে চলতি মাসের ২২-২৫ তারিখের মধ্যে
কাজ সম্পন্ন হবে। ইতোমধ্যে গ্যাস
পাইপ স্থাপনের কাজও শুরু হয়েছে।
কাজ শুরুর কিছুদিন পর বলা যাবে
সম্পন্ন হতে কেমন সময়
লাগবে।
প্রকৌশলীরা
জানান, গ্যাস পাইপ স্থাপনের পূর্বে
বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা কর হয়। এরপর
হলুদ রঙ করা হয়েছে।
মাওয়া ও জাজিরায় দুটি
সবাস্টেশন তৈরি করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্যাস এসে
মাওয়ায় যুক্ত হয়ে তারপর সেতুর
মধ্য দিয়ে জাজিরায় যাবে।
সেখান থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে
গ্যাস পৌঁছে যাবে।