Can't found in the image content. ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে সর্বনাশ নজর পড়েছে পাথরখেকোদের | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে সর্বনাশ নজর পড়েছে পাথরখেকোদের

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২২

ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে সর্বনাশ নজর পড়েছে পাথরখেকোদের

সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের শেষ প্রান্তে অবস্থিত ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এলাকা। সুগম যাত্রাপথ হওয়ায় পর্যটন স্পটটি পর্যটকদের কাছে দিন দিনই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্টেরসাদা পাথর’-এর দিকে এবার কুদৃষ্টি পড়েছে পাথরখেকোদের। সাদা পাথর এলাকায় রাত গড়াতেই স্তূপীকৃত পাথর লুটপাটের জগ্য শুরু হয়। অসাধু লুটেরাদের সাহায্যে পাহাড়া দিচ্ছেন পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)সহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এতে করে একদিকে পাথরখেকোদের দৌরাত্ম্যও যেন দিনদিন বাড়ছে পাশাপাশি সরকার হারাচ্ছে বড় অংকের রাজস্ব।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল এবং এএসআই মফিজের বাড়ি বি বাড়িয়া একই জেলায় হওয়ার সুবাধে এএসআই মফিজ অনৈতিক সুবিধা পেয়ে থাকে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটন এলাকায় বারকি নৌকার মাধ্যমে রাতের আঁধারে পাথর চোরাকারবারিতে লিপ্ত। এই সিন্ডিকেটে রয়েছে বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আরিফ, ভি আই পি জাহাঙ্গীর ও স্থানীয় চাঁদাবাজ মোঃ আলী।

জানাযায়, বিস্তীর্ণ প্রায় পাঁচ একর ভূমিতে সাদা পাথরের আস্তরণ। ছোট, মাঝারি আর বড় আকৃতির সব পাথর । কালো, খয়েরি আর সাদার মধ্যে ভিন্ন রঙের পাথর থাকায় সাদা পাথরগুলো পর্যাটকদের আকর্ষিত করে। বৃষ্টিবহুল চেরাপুঞ্জির পাদদেশ থেকে বর্ষায় ঢলের পানির সঙ্গে পাহাড় থেকে ভেসে আসা এই পাথর উত্তোলিত পাথরের চেয়ে দামি। আর এটির কদর বেশি থাকায় স্থানীয় প্রশাসনের ছত্রছায়ায় লুটপাট চলছে ধলাইসোনা ক্ষ্যাতো সাদা পাথর। ফ্রিডমবাংলানিউজের কাছে পাঠানো এমন একটি ভিডিও ক্লিপসে দেখাযাচ্ছে পাথরখেকোরা রাতের আঁধারে টমটম (টলি) গাড়ি বোজাই করে বারকি প্রতি এক হাজার টাকা মাসোয়ারা দিয়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ বারকি নৌকা নোঙর করে সাদা পাথর লুটে নিচ্ছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে দুই বিজিবি সদস্য, পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় চাঁদাবাজরা।

স্থানীয় ঠিকাদার সাদা পাথর পাচারের সত্যতা স্বীকার করে মো. আলী বলেন, একমাস যাবত পাথর উত্তলন বন্ধ আছে। এর আগে প্রশাসনের নজরের বাইরে রাতের আধাঁরে সাদা পাথর লুটপাট হলেও এখন হচ্ছেনা। 

অভিযোগ রয়েছে ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফারি’র এএসআই মফিজ উদ্দিন রাতের আঁধারে স্থানীয় সঙ্গবদ্ধ অসাধু পাথর পাচারকারীদের কাছ থেকে বারকি প্রতি হাজার টাকা করে মাসোয়ারা নিয়ে পাচারকারীদের ছেড়ে দেন। এ ব্যাপারে তার মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে বিজিবি'র কালাইরাগ ক্যাম্প কমান্ডার আরিফ বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বেষ্ঠনী বেত করে চোরাই পথে পাথর লুটপাটের বিষয়টি অসত্য বানোয়াট। আমি বর্তমানে কানাইগাট এলাকায় কর্মরত আছি। যখন ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্টের দায়িত্বে ছিলাম তখনো কোন প্রকার চোরাই পথে সাদা পাথর লুটপাটের ঘটনা আমার জানা নাই।