ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

পচা শামুকে পা কাটছে সরকার?

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, আগস্ট ২০, ২০২১

পচা শামুকে পা কাটছে সরকার?

নন ইস্যুকে ইস্যু করার ক্ষেত্রে সরকারের কিছু ব্যক্তিদের যেন জুড়ি মেলা ভার। সরকার যখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায়, করোনার মধ্যেও যখন অর্থনৈতিকভাবে গতিশীল ঠিক সেইসময় কিছু কিছু নন ইস্যুকে ইস্যু বানানো হচ্ছে জোর করে। আর এই সমস্ত ইস্যুর ফলে কেবল সরকারের বিভিন্ন ক্রিয়াশীল শক্তি বিব্রত হচ্ছে না, জনগণ বিরক্ত হচ্ছে। জনগণের মধ্যে বিরক্তি তৈরি করার জন্যই যেন ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে। এই সমস্ত ঘটনার কিছু কিছু অদক্ষতা, কিছু পরিকল্পিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সাম্প্রতিক সময়ে পচা শামুকে পা কাটার মধ্যে কিছু কিছু ঘটনা যেন জোর করে সরকারের ঘাড়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এরকম কয়েকটি ঘটনা এখন দৃশ্যমান।

 

বরিশালের ঘটনা: একটি পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে বরিশালে এরকম তাণ্ডব কেন হলো, কারা করলো এবং কিভাবে তারা এই ধৃষ্টতা পেল। যখন সরকার এবং প্রশাসন ঐক্যবদ্ধভাবে করোনা মোকাবেলা সহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছেন, যেদিন প্রধানমন্ত্রী সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার দিক নির্দেশনা দিলেন সেদিন রাতে বরিশালে ঘটনাটি কেবলই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নাকি কোনো কোনো মহল সরকারের সঙ্গে প্রশাসনের দূরত্ব সৃষ্টি করার জন্য, জলঘোলা করার জন্য ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।

 

পরীমনির ঘটনা: পরীমনিকে তৃতীয় দফার মত রিমান্ডে নেয়া হয়েছে আজকে। শুধুমাত্র মাদক রাখার জন্য একজন ব্যক্তিকে তিনবার রিমান্ড দেওয়া কতটা যৌক্তিক সে প্রশ্নও উঠেছে। বিভিন্ন মহল থেকে পরীমনির গ্রেপ্তারের সমালোচনা করা হচ্ছে। পরীমনি ইস্যুটিও একটা নন ইস্যু। এটাকে একটা জাতীয় ইস্যু বানানো হচ্ছে। কে বা কারা এমন একটি পরিস্থিতি করে সরকারকে নারীবিদ্বেষী হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে তা বোধগম্য নয়।

 

গণটিকা কর্মসূচি: সরকারের হাতে টিকা নেই অথচ সরকার গণটিকা কর্মসূচি ঘোষণা করলো। গণটিকা কর্মসূচির নামে নজিরবিহীনভাবে জনগণকে হয়রানি করা হলো। এমনও পরিস্থিতি তৈরি করা হলো যে, জনগণ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা পেল না। এভাবে গণটিকা কর্মসূচির পরিকল্পনা কার, কারা এই পরামর্শ দিলো সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে একের পর এক পরস্পর বিরোধী মন্তব্য: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে গত দেড় বছরে একের পর এক পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী একবার বলছেন টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে, একবার বলছেন করোনা নিয়ন্ত্রণে এলে খোলা হবে। কখনও বলছেন যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সব প্রস্তুতি রয়েছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে এক ধরনের ধুম্রজাল তৈরি করা হয়েছে যেটি অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং বাস্তবতা বিবর্জিত। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের বিরুদ্ধে এক ধরনের অনাস্থা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন মহল মনে করেন।

 

আমরা লক্ষ্য করছি যে, বিভিন্ন সময় একের পর এক অযোগ্যতা, অদক্ষতার কারণে সরকারের বড় বড় উন্নয়ন গুলোকে ম্লান করা হচ্ছে। করোনার সময় দীর্ঘদিন লকডাউনের সময় আমরা দেখেছি নজিরবিহীন সমন্বয়হীন সিদ্ধান্ত এবং একটি সিদ্ধান্তের সাথে আরেকটি সিদ্ধান্তের সাংঘর্ষিকতা। যেমন- ঈদের পর ১লা আগস্ট থেকে গার্মেন্টস খুলে দেয়া হলো, আবার গণপরিবহন বন্ধ রাখা হলো। রাতের বেলা গণপরিবহন চালু করার ঘোষণা দেওয়া হলো। যখন লকডাউন তুলে নেওয়া হলো তখন বলা হলো অর্ধেক গণপরিবহন চালু থাকবে। ধরনের সিদ্ধান্তগুলো কারা নিচ্ছে, কিভাবে নিচ্ছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। একটি মহল কি পরিকল্পিতভাবে সরকারকে সমালোচনায় ফেলার জন্য এই সমস্ত কাজ করছে? সেই প্রশ্নও বিভিন্ন মহলের। মনে রাখতে হবে, নন ইস্যু অনেক সময় জটিল হয়ে যেতে পারে, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। পচা শামুকে যেন পা না কাটে সেজন্য এখনই সতর্ক থাকতে হবে সরকারকে।

সৌজন্যে: বাংলাইনসাইডার