ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, আগস্ট ২০, ২০২১
আসল নাম নজরুল ইসলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে এই নামই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আসিফ নজরুল নাম ব্যবহার করে তিনি সমস্ত অপকর্মগুলো করেন। একদিকে বিয়ের পর বিয়ে করেছেন। বৈধ বিয়ে তিনটা আর সম্মতিতে অবৈধ বিয়ে কতগুলো করেছেন তার হিসেব আসিফ নজরুল নিজেও জানেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। লাম্পট্যে যেমন তিনি সবার সেরা তেমনি মৌলবাদের পক্ষে সুকৌশলে প্রচারণাতেও তার জুড়ি মেলা ভার। এ মুহূর্তে বিএনপি-জামায়াতের অন্যতম প্রধান মুখপাত্র হলেন এই লম্পট অধ্যাপক। তার বিরুদ্ধে লাম্পট্যের একাধিক অভিযোগ থাকার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সেও এক রহস্যময় প্রশ্ন। আসিফ নজরুলের উত্থান ঘটেছিল একাত্তরের সাপ্তাহিক বিচিত্রার মাধ্যমে। সাপ্তাহিক বিচিত্রা শাহরিয়ার কবির আর শাহাদাত চৌধুরীরা কেন আসিফ নজরুলকে পছন্দ করেছিলেন তাও এক রহস্য। যদিও শাহরিয়ার কবির এখন আওয়ামী লীগের পক্ষেই কথা বলেন কিন্তু ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী বিরোধী তাত্ত্বিকতায় শাহরিয়ার কবিররা যে অবদান রেখেছেন তা ভুলবার নয় এবং সেই আওয়ামী বিরোধী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিচিত্রাকে তারা ব্যবহার করতেন।
আর সেখানেই আসিফ নজরুলকে জায়গা দেয়া হয়েছিল। কাজেই শাহরিয়ার কবির বা শাহাদাত চৌধুরীরা নিঃসন্দেহে পাকা জহুরী ছিলেন। তারা আসিফ নজরুলকে চিনতে পেরেছিলেন। ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম গঠন করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। শাহরিয়ার কবিরের বদান্যতায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিতেও জায়গা করে নেন আসিফ নজরুল। যদিও তার পারিবারিক ঐতিহ্য জামায়াত ঘরানার। ছাত্রদল করতেন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। সেই আসিফ নজরুলকে শাহরিয়ার কবির একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দিয়েছিলেন। আর এর মাধ্যমেই একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি থেকে সব গোপন তথ্যগুলো চলে যেত জামায়াত-শিবিরের হাতে। আর এই একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিতে থাকার কারণেই বাংলাদেশের সুশীল এবং বুদ্ধিজীবী মহলে আসিফ নজরুল জায়গা করে নেন। সাদামাটা মধ্যমানের ছাত্র হওয়ার পরও জামায়াত ঘরানার শিক্ষক প্রয়াত এরশাদুল বারীর বদান্যতায় অলৌকিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হন আসিফ নজরুল। এর পর তার লাম্পট্যের অধ্যায় প্রকাশিত হতে থাকে। প্রথম বিয়ের পর তাকে ত্যাগ করেন। দ্বিতীয় বিয়ে করেন রোকিয়া প্রাচীকে। রোকেয়া প্রাচীর সঙ্গে সংসার করা অবস্থায় হুমায়ূন আহমেদের মেয়ের (শিলা) সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। একপর্যায়ে তাকে বিয়ে করেন। এখন শিলার সঙ্গেই সংসার করছেন আসিফ নজরুল।
তবে তার পরকীয়া যে কত সে হিসেব বোধহয় আসিফ নজরুল নিজেও জানেন না। আসিফ নজরুল হলেন তারেকের একজন পেইড এজেন্ট এবং জামায়াতের তাত্ত্বিক গুরু। বিএনপি-জামায়াতকে এক ঘাটে পানি খাওয়ানোর ক্ষেত্রে যে সমস্ত তথাকথিত সুশীলরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তাদের মধ্যে আসিফ নজরুল অন্যতম। আসিফ নজরুল ব্যক্তিগত জীবনে লাম্পট্য করলেও তার চিন্তা, চেতনা, আদর্শ হলো স্বাধীনতাবিরোধী। মৌলবাদকে লালন-পালন করা, মৌলবাদের পক্ষে তত্ত্ব কপচানোই তার প্রধান কাজ। আসিফ নজরুল বাংলাদেশের সুশীল সমাজের মধ্যে একটি দুষ্টু গ্রহ। জামায়াত এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের স্বার্থরক্ষা তার মূল কাজ হলেও তিনি একটি সুশীল আবহ নিয়ে বিভিন্ন মহলে কাজ করেন। আর বিরাজনীতিকরণের মুখপাত্র বাংলাদেশের প্রভাবশালী দৈনিক প্রথম আলো কলাম লিখে তাকে বুদ্ধিজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রাণান্ত চেষ্টা করছে। আর এই ধরনের দুর্বৃত্তরা মানুষকে শুধু বিভ্রান্তই করে না বরং মাদকাসক্তির মতো মৌলবাদের তত্ত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী চিন্তাভাবনা ঢুকিয়ে দেয়। আর এ কারণে এরা বিপজ্জনক। আসিফ নজরুলের মতো লাম্পট্য আর মৌলবাদের ককটেলের সুশীল সমাজরা শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য না বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য বিপজ্জনক।
সৌজন্যে: বাংলাইনসাইডার